নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি রশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং ক্রয়কৃত জমি দখলের অভিযোগ করেছেন রিপন মিয়া নামের এক ব্যক্তি। শনিবার দুপুরে জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কিশোরগঞ্জের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের এমদাদুল হক, রাজিব এলাকার হুসেন আলী, মধ্য রাজিব এলাকার আসাদুজ্জামান জুয়েল, কলেজ পাড়া এলাকার ফরহাদ হোসেন ও উত্তর দুরাকুটি এলাকার কবিরুল আহসান লেমন উপস্থিত ছিলেন। রিপন মিয়া কিশোরগঞ্জে উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এতে অভিযোগ করা হয় সুসম্পর্কের কারণে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম হাওলাদ হিসেবে ২৪লাখ টাকা নেন রিপন মিয়ার কাছ থেকে। টাকা পরিশোধে তালবাহানা করতে থাকলে এক পর্যায়ে ২০২২সালের ২১এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের একটি চেকে ২৪লাখ টাকা দিয়ে তুলে নিতে বলেন রশিদুল ইসলাম। ওই চেক ব্যাংকে জমা করলে একই বছরের ১৭জুলাই ব্যাংক থেকে ডিসঅনার করা হয়। এ নিয়ে আদালতে মামলা করেন রিপন।
এছাড়াও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে রশিদুল ইসলামের বড় ছেলে রাশেদুজ্জামান মিল্টন ১২শতক জমি বিক্রির জন্য ২০লাখ টাকা নেন রিপনের কাছ থেকে। জমি রেজিস্ট্রি করে দিলেও পরে তা বুঝে না দিয়ে রিপন মিয়াকে মারধোর করে বিক্রিকৃত জমি দখলে নেন রশিদুল ও তার দলবল। এনিয়েও আদালতে মামলা করেন রিপন।
সংবাদ সম্মেলনে রিপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টির নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম আমার সাথে প্রতারণা করেছেন এবং ক্রয়কৃত জমি বুঝে না দিয়ে হয়রানী এমনকি জবরদখল করে রেখেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম জানান, রিপন মিয়া একজন সুদ ব্যবসায়ী। প্রায় দেড়’শ মানুষের নামে মামলা করেছেন। আমি দেড় লাখ টাকা হাওলাদ নিয়েছি এবং তা পরিশোধও করে দিয়েছি। উপরন্ত আমার নামে ২৪লাখ টাকার একটি মামলা করেছে আদালতে আর আমি যে বিক্রি করেছি কিন্তু তা বুঝেও নিয়েছে সে।