নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে জাতীয় পার্টি মনোনীত সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
গ্রেনেট বাবুকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চেয়ারম্যানের পুত্র তানভিরুল হাসান প্রিন্স।
স্থানীয় প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
চেয়ারম্যানের পুত্র সংবাদ সম্মেলনে জানান- তার বড় আব্বু ৯০ দশকের ছাত্রনেতা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা যুবদলের পর পর দুই বার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৫ সালে ইউপি নির্বাচনে আমার বাবা গ্রেনেট বাবু
বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেও তা কুচক্রি মহলরা কেড়ে নেয়।
পরবর্তীতে বাবা বিএনপির কতিপয় নেতার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে অভিমান করে নিজস্ব জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে জাপায় যোগ দেন এবং জাপার প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।এখানেই মূলত কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ ও তাদের মদতপুষ্ঠ কিছু বিএনপি নেতার মনে আগুন লেগে যায়। কারণ আমার বাবা চেয়ারম্যান হওয়া মানে বিএনপি শক্তিশালী হওয়া। তারা বিএনপিকে দুর্বল করতেই বিভিন্ন রকম চেষ্টা করে। তিনি জাপা মনোনিত চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে
বিএনপির দুর্দশা দেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমাকে কিশোরগঞ্জে ছাত্রদের একত্রিত করে আন্দোলনে নামিয়ে দেয়। যার ফল আজকে আমারা স্বাধীন বাংলাদেশ পাই।
৫ আগষ্ট স্বৈরাচার পতনের পর বিভিন্ন দলের ন্যায় আমার বড় আব্বু মাসুদ রানা পাটোয়ারী বিএনপিকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার জন্য বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা যারা আওয়ামী ঘেষা বিএনপি দ্বারা উপেক্ষিত ও বৈষম্যের শিকার তাদেরকে একত্রিত করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন
ইউনিয়নে গণসংযোগ ও আলোচনা শুরু করে। সম্প্রীতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব বাঁধে। যার সাথে আমার বাবার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বন্দকে কেন্দ্র করে ৩১ আগষ্ট বিএনপির আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তাজুল ইসলাম ডালিমের নেতৃত্বে কতিপয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে আমার বড় আব্বুর দোকান ভাংচুর করতে যায়। দোকান বন্ধ দেখে তারা ফিরে এসে বাচ্চা কুন্ড নামক মোড়ে অবস্থান নিয়ে হুমকী দিতে থাকে। এসময় আমার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান এসে তাদের বাঁধা দেয় এবং পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরবর্তীতে নৌকার সাবেক চেয়ারম্যান আনিছ এর প্ররোচনায় ও গুন্ডা বাহিনীর সহযোগীতায় মামুন ডালিম গং আমার বাবা গ্রেনেট বাবুকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে আহত করে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করে। আহত বাবা রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে।
আমি সন্তান হিসেবে তার উপর হামলা ও দোকান ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি এর সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।