নীলফামারী প্রতিনিধি,মোঃ গোলাম রব্বানী:
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ০১ নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম এর পেশাজীবি ইউনিট চিলাহাটি শাখার উদ্যোগে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ২৩ আগষ্ট সন্ধ্যা ০৭ টার সময় চিলাহাটি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের হলরুমে কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবন গঠনের লক্ষ্যে জামায়াতের নেতা কর্মী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে এই সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
চিলাহাটি গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়।
চিলাহাটি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ও ০১ নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি গোলাম আযমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিমলা জনতা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ডিমলা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান।
চিলাহাটি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ওয়াহিদুজ্জামান ফারুকের সঞ্চালনায় অন্যান্নদের মাঝে বক্তব্য প্রদান করেন চিলাহাটি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আইউব আলী, সমাজ সেবক আলতাফুর রহমান আলতাফ, সাজ্জাদ চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডিমলা জনতা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ডিমলা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মজিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন আমরা অনেক আলোচনায় শুনলাম বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে পরিস্থিতি উদ্বুদ্ধ হয়েছে তাতে আমরা কেউই ভাবিনি যে হাসিনা সরকারের পতন হবে এবং হাসিনা নিজেও বুঝতে পারেনি। এখন জনগণের সামনে যে জিনিস গুলো প্রকাশ হচ্ছে হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড আয়না ঘরের মর্মান্তিক ঘটনা মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় না জানি কত শত হাজারো নিরিহ নিরপরাধ মানুষকে আয়না ঘরে আবদ্ধ করে নির্মম নির্যাতনে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন এক সময় ফেরাউন যে কাজ গুলো করেছিল সেই কাজগুলোই হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে করেছিল, হাসিনা হচ্ছে দ্বিতীয় ফেরাউন। জামায়াতি ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মাঝে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছিলো এবং বলেছিল জামায়াত যদি কখনও ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ তালেবান হবে এবং তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত হবে, দেশ উগ্রবাদী হবে এবং সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর পাঁচ দিন দেশে সরকার ছিল না এর মধ্যে আরেকটি দল বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল আমরা জামায়াতি ইসলামী সংগঠনটি প্রত্যেকটি পাড়ায় মহল্লায় বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা সহ সকল স্থানে দিন রাত পাহারা দিয়ে রক্ষা করেছি। বিশ্বের রাজনীতির অঙ্গনে বিশ্ব নেতাদের কাছে আমাদের এই কাজগুলো প্রশংসিত হয়েছে।
তাই আর বাংলার জমিনে স্বৈরশাসক নয় দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবির জন্য ইসলামী শাসনতন্ত্র গঠনের জন্য আপনারা বাংলাদেশ জামায়াতি ইসলামের পতাকাতলে যোগদান করেন এবং আল্লাহর আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করুন। পরিশেষে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহবান জানান।