নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী:
বুধবার রাত ১২টায় চলে যায় বিদ্যুৎ আর আসে সকাল ১০টার পর। এই প্রচণ্ড গরমে মানুষজনকে প্রায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হয় ডোমারে বিদ্যুতের এমন চিত্র এখন প্রতিনিয়ত দেখা দেয়। বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষজন। মে-জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় হাফিয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের মানুষ। সামান্য বাতাসেই ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হয়।
ইউনিয়নের অনেকেই অভিযোগ করেন, রাত ১২টা বাজলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। সারারাত আর আসার নাম নেই। সকাল ৯-১০টার পর আসে। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে সারারাত বিদ্যুৎ না থাকায় অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে সর্বত্র। পরিবারের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বসেই রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহ থেকে বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিং আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শির্ক্ষাথীসহ সকলেই। আর কয়েকদিন পরেই এইচএসসি পরীক্ষা। বিদ্যুতের এই অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে।
মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত কারেন্টের পিলার বসানো হলেও বিদ্যুতের কোনো উন্নতি হয়নি। আগের চেয়ে বিদ্যুতের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ডোমার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নওশাদ আলম বুধবার রাতে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে জলঢাকায় মাইক্রোর ধাক্কায় একটি পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎবিহীন ছিল ডোমার উপজেলা।
এই আমাদের ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন থাকলেও আমরা পাচ্ছি ৬ মেগাওয়াট। আর রাতে প্রয়োজন ১০ মেগাওয়াট আমরা পেয়ে থাকি ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট।