আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলায় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত প্রায় ২লাখ ৭৬হাজার ২০১টি গবাদিপশু। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে পশু ক্রয়-বিক্রয়। তবে হাটবাজার জমে উঠতে আরও কয়েক দিন দেরি হবে বলে জানান খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয়ের আর অল্প কিছুদিন বাকি থাকায় শেষ মুহুর্তে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা। গরুকে খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুট্টা এবং ধানের কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াচ্ছেন। তবে পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেকটাই বেড়েছে বলে জানান খামারিরা।
ডোমার উপজেলা সোনারায় ইউনিয়নের খাটুরিয়া গ্রামের এক খামারি বাবু বলেন, ‘এবারে আমাদের দেশি গরু দিয়েই কোরবানির হাটগুলো কানায় কানায় ভরে যাবে। প্রচুর গরু রয়েছে খামারিদের কাছে। তবে গোখাদ্যের দাম ও কাজের লোকের হাজিরা, সব মিলে একটি গরুর পেছনে যে ব্যয় হয় তা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হবে।’
ডোমার সদর ইউনিয়ন এলাকার জলিল বলেন,আমার খামার থেকে ‘গত ঈদে আমরা ৫০টি গরু নিয়ে এই খামারের শুরু করি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের কোরবানীর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়ে শতাধিক দেশী জাতের ষাড় গরু কোরবানীর বাজারের বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। এসব গরুকে সম্পুর্ন প্রাকৃতিক খাদ্য খাওয়ানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, গরু গুলোকে প্রতিদিন দুই বেলা প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন ভুট্টা, খৈল,কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি ও খড় খাওয়ানো হয়। দিনে দুই-তিনবার গোসল করানো হয়। পশুর থাকার জায়গা সবসময় পরিষ্কার রাখাসহ সার্বক্ষণিক ফ্যান চালিয়ে পরিবেশ ঠান্ডা রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গরু পালনে খরচ বেড়েছে অনেক। প্রতিবারই কোরবানীর ঈদের সময় চোরাই পথে ইন্ডিয়ান গরু প্রবেশের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে দেশীয় খামারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আশা করছি এবারে তেমনটা হবে না। যার ফলে আমরা খামারীর লাভবান হবো। গত বছরের চেয়ে এবার ঈদে অনেক লাভ হবে।