
মো:আমিনুল ইসলাম :-
২০০৪ সালের ১লা এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই ঘটনা বিএনপি সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্কের তিক্ততা বাড়িয়ে তোলে।
দুটি ট্রলারে করে চীন থেকে আনা ১৭৯০টি বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র, ১১ লাখ গুলি, ৬ হাজার ম্যাগাজিন, ২৭ হাজার গ্রেনেড এবং ১৫০টি রকেট লঞ্চার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও কোস্টগার্ডের অভিযানে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তৎকালীন কর্ণফুলী থানার ওসির ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক ওঠে।
ভারত দাবি করে যে এই অস্ত্র উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জন্য পাঠানো হচ্ছিল।
ভারতীয় হাইকমিশনার বীনা সিক্রি বলেন, উলফা এই অস্ত্রের চালানের পেছনে ছিল।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সরকারের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিএনপি সরকার অস্ত্র চালানের বিষয়ে ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করে।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, অস্ত্র দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল।
বিএনপি নেতারা দাবি করেন, আন্তর্জাতিক তদন্ত করা উচিত।
এই ঘটনার পর বিএনপি ও ভারতের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়।
ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা রকমের অভিযোগ আনে।
বাংলাদেশ ভারতের অভিযোগগুলো অস্বীকার করে।
এই অস্ত্র চালানের পেছনে কারা ছিল তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে।
বিএনপি সরকারের জড়িত থাকার প্রমাণ আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই ঘটনা বিএনপি ও ভারতের সম্পর্কের তিক্ততা বাড়িয়ে তোলে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলে।