শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন

বেলকুচিতে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মিথ্যা প্রলোভনে বিয়ে করে ১১ লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মনজুরুল ইসলাম
  • Update Time : শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৫ Time View

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করে ১১ লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লাইট হাউজ টেকনিক্যাল বিএম কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে।

প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক( ৪৬) ধুকুরিয়া সাতলাঠি গ্রামের মোঃ মনিরুজ্জামান সরদার এর ছেলে।
সাবিনা ইয়াসমিন (২৩) ধুকুরিয়াবেড়া পিড়ারচর লক্ষিপুর গ্রামের মৃত ফুলজার হোসেন এর মেয়ে।
জানা যায়, প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক এর একজন স্ত্রী থাকা সত্যেও মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিনকে ৬ লক্ষ্য টাকা কাবিনে বিয়ে করে। কাবিনে ৪ লক্ষ্য টাকা নগদ বুঝিয়ে দেয় মর্মে কাবিনে উল্লেখ করে বাকি ৭ লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিয়ে চাকুরী দেয় প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক , সাবিনা ইয়াসমিন সেখানে কিছুদিন চাকুরী করার পর প্রতারণা করে সেই চাকুরী ক্যান্সেল করে তার সাথে সংসার করবেনা বলে একটি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেয় প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক।
আব্দুর রাজ্জাক ও দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তাদের প্রায় ২ বছর ঘরসংসার করার মাঝে সাবিনা ইয়াসমিনের গর্ভে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে আবার সেই দিনই মারা যায় তাদের সন্তান।
প্রতারণা করে চাকুরী ক্যান্সেল করা ও সাবিনা ইয়াসমিন তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দাবিতে আব্দুর রাজ্জাক এর বাড়িতে অনশন করে, এমতাবস্থায় প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক ও তার প্রথম স্ত্রী সহ বাড়ির সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা যায়। স্ত্রীর অধিকার পেতে ও তার সাথে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় উপযুক্ত বিচারের দাবিতে বেলকুচি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ।

এবিষয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক আমাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু তার স্ত্রী আছে বলে প্রথমে আমি রাজি হইনি, তারপর আমি ঢাকা চলে যাই, সেখানে গিয়ে আমার বাসার সামনে মাঝেমধ্যেই দাড়িয়ে থাকতো আব্দুর রাজ্জাক, এমতাবস্থায় পরে তার সাথে আমার একটা অবৈধ সম্পর্ক হয়, এমনকি আব্দুর রাজ্জাক বলে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে আমি তোমাকে বিয়ে না করে বাড়ি যাবোনা। চাকুরীতে ১১ লক্ষ্য টাকা লাগবে মর্মে, তার সাথে ৬ লক্ষ্য টাকা কাবিন করে মিছামিছি ৪ লক্ষ্য টাকা নগদ বুঝিয়ে দিয়ে ৭ লক্ষ্য টাকা আমাদের কাছে থেকে নিয়ে চাকুরী দিয়ে আমাকে বিয়ে করে প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক। তার আমার সম্পর্কের মাঝে আমাদের একটি কন্যা সন্তান হয়েছিল সে মারা গেছে তাকে দেখতে পর্যন্তও আসেনাই, আমাদের বিয়ের কথা জানাজানি হলে তার প্রথম স্ত্রীর চাপে আমার চাকরি ক্যান্সেল করে আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছে, আমার সাথে এতোবড় প্রতারণা কেন করলো আমার অপরাধ কি ছিল? আমার জীবন নষ্ট করে এখন সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, আব্দুর রাজ্জাক জামাতের বড় নেতা হওয়ায় সে জামায়াতের ভয় দেখিয়ে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে, এ বিষয়ে জামায়াতের নেতাদের কাছে বিচার দাবি করে কোন বিচার পাইনি, এখন বলে কোন বিচার দেওয়া হবে না যা পারে করুক। এখন আমাকে চাকুরী ফিরে দিয়ে আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে, তা না হলে আমি আত্মহত্যা করবো বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা জামায়াতের সহ সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হাশেম সরকার জানান, প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক এর অভিযোগ আমরা ইতিমধ্যে শুনেছি, সে জামায়াতের বড় ধরনের কোন নেতা বা কর্মীও নয়, তাকে আমরা শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি বানিয়েছিলাম কিন্তু তার কোন কার্যক্রম সংগঠনে আমরা পাইনি।

এবিষয়ে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক সাবিনা নামে একটা মেয়েকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়ে তাকে বিয়ে করেছিল আবার সে ডিভোর্স দিয়েছে, তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102