নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত কয়েক দিন থেকে পড়ছে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম। কখনো রোদের প্রখর তাপ আবার কখনো অসহ্য গরম। সাথে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং দুই এ মিলে মানুষকে ফেলেছে চরম অস্বস্তিতে।
সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ ঘাটতি। তাছাড়া পুরনো ট্রান্সমিটার ঠিকমত চলে না। মাঝে মাঝে এগুলো বিকল হয়ে পড়ে। তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সমস্যার সমাধান মিলতে সময় লাগবে।
জেলার একমাত্র সিনেমা হল সৈয়দপুর তামান্না। এ হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম ঝন্টু বলেন, এমনিতে সিনেমা মানুষ দেখে না। হলে ভাল ছবি এলে কিছুটা দর্শক মেলে। বর্তমানে ঈদে চলছে তুফান সিনেমা। দর্শক এ ছবিটা দেখতে ভীর করছে। কিন্তু ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় আমি পড়েছি চরম বিপাকে। বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে হয়তো এ ছবিতে আমাকে লোকসান গুনতে হবে।
ক্ষুদ্র শিল্ক মালিক জাহির জানান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে না। অথচ শ্রমিকদের দিন শেষে ঠিকই মজুরী দিতে হচ্ছে। কবে যে বিদ্যুতের এ সমস্যার সমাধান হবে তা জানি না।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়, আকাশের বৃষ্টি না হওয়ায় গরম পড়ছে। তবে যে কোন সময় আকাশের বৃষ্টি নামতে পারে। তখন হয়তো গরম কিছুটা কমে আসবে।
অটো চালক রহিম জানান, প্রচন্ড গরমে গাড়ী চালাতে পারিনা। প্রায়ই সময় গা ঘেমে গোটা শরীর ভিজে যায়।
রিক্সা চালক হাফিজুল জানান, আকাশের পানি নেই। অথচ এখন চলছে বর্ষাকাল। আষাঢ় মাসে পানিতে ঘর থেকে গাড়ী নিয়ে বের হতে পারি না। কিন্তু এখন উল্টো আবহাওয়ার কারণে আষাঢ়েও পানি নেই। তাই গরমের হাত থেকে নিজেকে কিছুটা শীতল রাখতে ঘারে গামছা পেচিয়ে নিয়েছি। ওই গামছা দিয়ে শরীরের ঘাম মুছে থাকি।
সৈয়দপুর শহরের পাঁচমাথা মোড়ে ফুটপাতে জুতা স্যান্ডেল শেলাই করেন কবির । তিনি জানান, অতি গরমে দোকানে বসে থাকতে পারি না। তবুও পেটের দায়ে সব সহ্য করছি। তিনি আরো জানান, গরমের কারণে তার ব্যবসায় ভাঁটা পড়েছে। কারণ এ গরমে কেউ বাসা থেকে শহরে আসছে না। তাই দোকানে তেমন একটা কাজ নেই।
এদিকে শরীর একটু ঠান্ডা করতে অনেকে তাল শাঁস খাচ্ছে। শহরের রেললাইন ধারে তাল শাঁস বিক্রি করেন জয়পুরহাট থেকে আসা জাকির আলী জানান তাল শাঁসের বহুগুন রয়েছে। এটি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।