
মো:আমিনুল ইসলাম (কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি):
ময়নামতি বিহার, কুমিল্লা শহরের কাছে অবস্থিত, বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।
৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে এটি গড়ে উঠেছিল।
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে ময়নামতিতে ৫০ টিরও বেশি বৌদ্ধ বিহার, মন্দির, এবং স্তূপের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মের কেন্দ্র: ময়নামতি প্রাচীন বঙ্গের বৌদ্ধ ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।
স্থাপত্যশৈলী: ময়নামতির স্থাপত্যশৈলী গুপ্ত এবং পাল স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ।
ভাস্কর্য ও শিল্পকর্ম: ময়নামতি থেকে বুদ্ধমূর্তি, তারা, এবং বিভিন্ন ধরণের ভাস্কর্য ও শিল্পকর্ম আবিষ্কৃত হয়েছে।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ময়নামতি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আকর্ষণীয় স্থান:
শালবন বিহার: ময়নামতির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিহার।
কুতুব মিনার: ময়নামতির সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা।
একখানা মসজি: ময়নামতির একটি ঐতিহাসিক মসজি।
রত্নপুর: ময়নামতির একটি প্রাচীন গ্রাম।
ময়নামতি জাদুঘর: ময়নামতি থেকে আবিষ্কৃত প্রত্নবস্তুর সংগ্রহশালা।
ময়নামতি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ঐতিহাসিক স্থাপনা, মনোরম পরিবেশ, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
ময়নামতি বিহার বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা, মনোরম পরিবেশ, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।