শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

গাজীপুরে বর্জ্য ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১২০ Time View

মাহাবুল ইসলাম গাজীপুর

গাজীপুর মহানগরীর গাছা রোট এলাকায় ময়লা-আবর্জনার ব্যবসা নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকার ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিকদের মধে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাসা-বাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন ময়লা অপসারণের কাজে নিয়োজিত সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট ২ জন ইজাদার এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় বাড়ির মালিকরা জানান, গাছা থানা শ্রমিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান বাবু সিটি করপোরেশন থেকে ইজারায় দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন বর্জ্য অপসারণ করে আসছেন। বর্তমানে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মহানগর যুবলীগ নেতা ওসমান গণি কাজলের লোকজন বাসা-বাড়িতে গিয়ে ইজারাদারকে ময়লা অপসারণের সার্ভিস চার্জ না দিয়ে তাকে (কাউন্সিলর) দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ ঘটনায় সরকারি দলের দু’টি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় বাড়ির মালিকরাও রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন।

ইজারাদার আবু রায়হানের প্রতিনিধি গাছা থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজজামান লিটন ও গাছা থানা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসাদ আহমেদ খান রুবেল জানান, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নির্দেশে এলাকার একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ তাদেরকে ময়লা অপসারণে বাধা এবং বাসা-বাড়ি থেকে ময়লার সার্ভিস চার্জ তুলতে বাধা দিয়ে আসছে। এমনকি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লার গাড়ি যাওয়ার পথে তাদের গাড়িও আটকে দিচ্ছে। সন্তাসীরা তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় তারা জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত বলে অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় কৃষক লীগের গাছা থানার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজজামান লিটন বাদী হয়ে আল-আমিন মন্ডলকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে এবং শামসাদ আহমেদ খান রুবেল বাদী হয়ে সিহাব খান, মাসুদ খান ও বাবুলসহ আরো অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার গাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ওসমান গণি কাজল বলেন, তাদের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের নতুন পরিষদের প্রথম মাসিক সভায় ময়লার দায়িত্ব স্ব স্ব ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। তাই তাদেরকে (ইজাদারকে) এখন থেকে বাসা-বাড়ির ময়লা অপসারণ ও সার্ভিস চার্জ তুলতে নিষেধ করেছি।

গাছা থানার ওসি মো. শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ময়লা নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102