মোঃ সজিব শেখ,
মাগুরা জেলা প্রতিনিধি:
কাজী আনিসুর রহমান তৈমুর
সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
অত্যন্ত গর্বের সাথে বলতেই হবে মাগুরা বাসী এমন মুখ পেয়েছে। জাহার ভিতর বিদ্যমান রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
আমাদের মহম্মদপুরের সন্তান। আমরা গর্বিত আপনাকে পেয়ে। আপনার ভালোবাসা সাধারণ মানুষের জন্য।
কিছু কথা – বাস্তব চিত্র তুলে ধরা-
একটি সতর্কমূলক পোস্ট:
পঙ্গু হাসপাতাল নতুন বিল্ডিং এর দোতলা থেকে ডাক্তার দেখানো শেষ করে ফিরে আসছি। তখন দেখি দুজন মহিলা এবং একটি ছোট বাচ্চা এক পাশে বসে আছে। বাচ্চাটাকে দেখে মনে হচ্ছে সে ক্ষুধার্ত। দুপুর হয়ে গিয়েছে। একটু পরেই তার আরো কষ্ট হবে। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা কি ডাক্তার দেখাবেন ? বাচ্চাকে নিয়ে ঠান্ডায় বসে আছেন কেন?
যে ডাক্তার দেখাবে সে এক ডাক্তারের মাধ্যমে এসেছে। ডাক্তার এখন ফোন ধরছে না এবং তাদের ফোন একবার ধরে পাগল বলছে।
আমি বললাম সময় কম এখন আপনারা টিকিট কেটে এখানে ডাক্তার দেখান সব ডাক্তার একই চিকিৎসা করেন। আমি তাদের সহযোগিতা করতে গেলাম এ কারণে যে তাদের পাশে একটি দালাল ঘুরাঘুরি করছিল। কোন বিপদে না জানি পরে। তাদের ডাক্তার বলছে সে নাকি কল্যাণপুরে। শিশু বাচ্চাটার মা তার মাজায় ব্যথা। সে কাকে যেন ফোন দিল। সম্ভবত গ্রামের কাউকে বলছে যে আপনি ডাক্তারকে ফোন দেন। ওই মহিলার সাথে তার ভাবিকে নিয়ে এসেছে।
আমার কথায় তারা ডাক্তার দেখাতে রাজি হচ্ছিল না।
আমি তাদের বিষয়টা বুঝিয়ে আমি যে ডাক্তারকে দেখিয়েছিলাম সে ডাক্তারের রুমে নিয়ে গেলাম এবং তাদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করিলাম। আর একটু দেরি করলে তারা আর কোন ডাক্তার পেত না ।
তারা আসছে সুদূর কুমিল্লা থেকে। আবার কুমিল্লায় ফিরে যাবে। আমি এ কথা জানার পরে ভাবছিলাম তারা তো বিপদে পড়তে যাচ্ছে। রাতে দুজন মহিলা কি করে তাদের বাড়ি ফিরে যাবে। এ সমস্ত চিন্তার মাথায় ঘুরপাকখা ছিল তাই তাদেরকে বুঝিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে দিলাম।
বর্তমান যে দিনকাল পড়েছে পুরুষদের অনুরোধ করি আপনারা মহিলাদের এত দূরের কোন পথে একা ছাড়বেন না।
আমার কথা হল আপনারা যারা রোগী নিয়ে আসবেন সরাসরি টিকিট কাটবেন এবং যে ডাক্তারের কাছে যেতে বলে সে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেবেন। আপনারা ভুলেও হাসপাতালে গিয়ে কোন দালালের খপ্পরে পড়বেন না। অমুক ডাক্তার ভালো তমুক ডাক্তার ভালো এসব চিন্তা না করে আপনি সরকারি হাসপাতালে যে ডাক্তার বসেন তাকে দেখাবেন। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার মহোদয়রা বিকেলে গিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে বসে।
সরকারি হাসপাতালে গিয়ে হয়তো বা একটু ধৈর্য ধরতে হবে যে ধৈর্য আপনি প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়েও ধৈর্য ধরেন।
আসুন আমরা আমাদের নিজেদেরকে বদলায় আমরা সরকারি হাসপাতালে সেবা নেবার চেষ্টা করি। সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বাজেট পেশ করে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য খাতে। যদি আপনি সেবা পাইতে কোন রকম সমস্যা মনে করেন তাইলে অভিযোগ দেবার জায়গা রয়েছে।
বাংলাদেশের বড় বড় ব্যবসায়ী যারা রয়েছেন তারা একটি করে হাসপাতাল নির্মাণ করুন যেখানে গরিব মানুষের জন্য ফ্রি সেবা থাকবে। যারা ধনী তাদের জন্য টাকার মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে।
ধন্যবাদ সকলকে।