জাকারীয়া শাওন শরণখোলা উপজেলা প্রতিনিদি,
শরখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নতুন করে আরও প্রায় ৫০০ ফুট (১৫০ মিটার) পরিমাণ মূল বেড়িবাঁধের নিচের গাইড ওয়াল বলেশ্বর নদে বিলীন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার বিকাল থেকে বাঁধের উপরের অংশের সিসি ব্লক ধসে নদীতে নেমে যেতে শুরু করেছে।
এর আগে গত বছরের ১৭ ও ১৮ অক্টোবর একই এলাকায় আশার আলো মসজিদ থেকে ডিএস-৭ স্লুইস গেট পর্যন্ত প্রায় ৫০ মিটার গাইড ওয়ালসহ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনকবলিত ওই অংশে বাঁধ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে (ইমার্জেন্সি প্রটেকশন) জিওব্যাগে বালু ভরে তা ডাম্পিং করা হয়; কিন্তু ওই জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ে ভাঙন সাময়িক রোধ করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে সেখানে আবারো ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছেন।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা কেএম সিয়াম মাহমুদ জানান, নতুন করে বাঁধে ভাঙন শুরু হওয়ায় বগী ও গাবতলার মানুষের মাঝে সেই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাঁধের নিচ থেকে গাইডওয়াল আগেই বিলীন হয়েছে। এখন দুদিন ধরে উপরের ব্লক নামতে শুরু করেছে। ভাঙনে বাঁধের গোড়ায় ৩৫ থেকে ৪০ ফুট গভীর খাদ সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত নদী শাসন করা না হলে মূল বাঁধই বিলীন হয়ে যাবে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, বাঁধ নির্মাণের আগে আমরা বারবার বলেছি নদী শাসন করতে; কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বাঁধ হস্তান্তর করে সিইআইপি কর্তৃপক্ষ চলে গেছে। অথচ এখন আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে আমাদের। ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মুহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, নতুন করে ভাঙনের বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ভাঙন প্রটেকশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।