হোসাইন মৃদুল,নাগরপুর (টাঙ্গাইল )প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের বন্ধজালশুকনা গ্রামের মৃত আরফান শিকদারের ছেলে মো. আবুল কালাম ও ছেলে নাজমুল কে পৈতৃক সম্পত্তি বন্টন নিয়ে বিরোধের জেরে কুপিয়ে যখম করেছে সহদোর ভাই ও ভাতিজারা।
এ ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে হামলা শিকার আবুল কাশেম (৬০) বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষের প্রায় ৫০০ শতাংশ জায়গার মধ্যে আমার দুই ভাই সঠিকভাবে বন্টন না করে নিজেদের নামে নামখারিজ করে নিয়ে বেদখল করে রেখেছিল দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবৎ। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার পারিবারিকভাবে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির বর্গের উপস্থিতিতে উক্ত ব্যক্তিবর্গ আইনসম্মতভাবে জমি বন্টনের প্রস্তাব দিলে আমার ভাইয়েরা সে কথা মানিয়া নিয়ে পরবর্তীতে সঠিক বন্টন না করে দখল না বুঝিয়ে যে জোরপূর্বক ভাবে অপেক্ষাকৃত ভালো জমিগুলো জবরদখল করে আসছিল।
পরবর্তীতে, পারিবারিক বন্টন নামা না থাকায় এবং বেআইনিভাবে খারিজ করায়, আমি সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর দরখাস্ত দিয়ে উক্ত নাম জারি গুলো বাতিলের আবেদন করলে, তদন্ত পূর্বক সহকারী কমিশনার (ভূমি) সে সকল খারিজ বাতিল করেন।
ইতিমধ্যে উত্তরাধিকারী আইনগত হিসাব অনুযায়ী আমার প্রাপ্য ভূমিতে চাষাবাদ করি। গতকাল সকাল আনুমানিক ৬.৩০ মিনিটের সময় মোকনা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হবি”র নেতৃত্বে আমার ভাই ও ভাতিজারা জোরপূর্বক আমার জমির ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি এবং আমার ছেলে নাজমুল বাঁধা দিলে ওরা আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি ভাবে হামলা করে।
এ সময় লোহার রড, টিউবওয়েলের মাথা, লাঠি ও ধারালো ছ্যান দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত করে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে নাগরপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
আমার হাতে, পায়ে, হাতের আঙ্গুলে, মুখে, মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেটে যায়। এসব জায়গায় অনেক গুলো সেলাই করেন চিকিৎসক।
এছাড়াও আমার ছেলের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওরা আমার ছেলেকেও রক্তাক্ত করে ফেলে। আমি এ ঘটনা সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি। এছাড়াও উত্তরাধিকারী আইন অনুযায়ী আমার ন্যায্য হিসাবের দাবি জানাই।
যুবলীগ নেতা হবি এর নেতৃত্বে হামলা করে মৃত আরফানের ছেলে তাইজুদ্দিন ওরফে তোয়া, তাইজুদ্দিনের ছেলে মো. ফজলুর রহমান ওরফে বাবু, মো. ফুলচাঁন মিয়া সহ বেশ কয়েকজন।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।