শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

এস আই প্রভাষের নামে মাদক,জুয়া ও চোরাকারবারিদের সহযোগিতার নানান অভিযোগ

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২১৬ Time View

খুলনা ব্যুরো:

খুলনার বটিয়াঘাটার ভান্ডার কোট পুলিশ ফাড়ির এস আই প্রভাষের নামে অভিযোগ উঠেছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের লক্ষ লক্ষ টাকার চোরাই মাল ধরে আসামির কাছ থেকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া।এছাড়াও জুয়া,মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে মাদক ব্যবসা-জুয়ার পরিচালনায় সহযোগিতা করার।

ভান্ডার কোট এলাকার মিজান বলেন, প্রায়ই রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল বটিয়াঘাটায় ডুকছে,ভান্ডার কোট ফারির আইসি প্রভাষ চোরাই মাল ধরার পর আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এগুলো আবার রাতের আধারে ছেড়েও দিচ্ছে।গতকাল লোহারপাত রড সহ একটি গাড়ি আটক করল কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেই গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া।

এলাকাবাসী আলামিন বলেন,যে কোন সময় ভান্ডারকোট ইউনিয়ন সহ গোটা এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা সুষ্ঠ ও সুন্দর রাখার জন্য এস আই প্রভাষের শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রভাষ চন্দ্র সাহা জুয়া ও মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে মাদকব্যবসা ও জুয়া পরিচালনার সহযোগিতা করেন।

বটিয়াঘাটা এলাকাবাসীরা প্রবাষ চন্দ্র সাহার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন এমনটা লোকাল জাতীয় পত্র-পত্রিকাসহ অনলাইনে প্রকাশ পেলেও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকার কারনে এসব করেও তিনি পার পেয়ে যান।

এর আগে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট বটিয়াঘাটা থানার এস আই প্রভাষ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে একটি গণ অভিযোগ করলেও কোন এক অদৃশ্য ছায়ার কারণে তার কোন প্রভাব পড়েনি প্রভাষের।

প্রভাষ আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিদের সাথে আতায়াত করে চলে এবং তার হাত অনেক লম্বা।এসব অভিযোগ দিয়ে তাকে ঘায়েল করা সম্ভব হবে না বলে তাদেরকে আরও ভয়-ভীতি দেখান প্রভাষ এমনটা বলেন সাধারণ এলাকাবাসীরা।

এছাড়া নিরীহ মানুষদের হয়রানি করছে এমন অভিযোগে এক ব্যবসায়ী মোনায়েম খান মিথুনের এ বিষয়ে একটি অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি ইনপোর্ট এর মাধ্যমে গাড়ী আমদানী করে দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।কিন্তু ভান্ডারকোর্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র সাহা তার নিকট চাঁদা দাবী করেন,চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীকে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ সহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা সহ জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকেন। এ বিষয়ে ওই ভুক্তভোগী তার জীবনে নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ করেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে এস আই প্রভাষ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে এ সব অভিযোগে মিথ্যা বানোয়াট। একটি কুচক্রী মহল এসব অভিযোগ করে আমার নামে বদনাম করতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে আমার ঊর্ধতম কর্মকর্তারা তদন্ত করে আমাকে ওই একই জায়গায় আবার দায়িত্ব রত করেছিলেন।

এই ঘটনার বিষয় বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোস্তফা খায়রুল বাশার বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাইনি। তবে যদি কোন অভিযোগ পাই তাহলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102