মোঃ হানিফ মিয়া,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
ওড়না দিয়ে পেছন দিকে বাঁধা মেহেদি রাঙা দুই হাত। পরনে কালো রঙের বোরকা ও এসিডে ঝলসানো তিস্তার নদীর চরে উদ্ধার সেই তরুণীর মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। মরদেহের মেহেদী রাঙা হাতে লেখা ছিল ‘আই লাভ ইউ।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী মরদেহের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার সকালে উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার চর থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।
নিহত তরুনীর নাম জোস্না বেগম। সে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও ২০২৫ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৯ দিন আগে একই জেলার চাপানী এলাকার জহিদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় জোস্না বেগমের। বিয়ের পরে চাচাতো বোনের বিয়েতে দাওয়াত খেতে নিজ বাড়ীতে এসেছিলো জোস্না। শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিখোঁজ হয় জোস্না। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে তাদের সন্দেহ যে জোস্না তার বয়ফ্রেন্ড এর সঙ্গে পালিয়েছে।
এদিকে, নিখোঁজের ৪দিন পর তিস্তা নদীর তীব্র স্রোতে ভেঁসে এসে মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার তিস্তা মাঝের চরে ওই মরদেহ আটকে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে আদিতমারী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
জোস্নার হাত ওড়না দিয়ে পিছন থেকে বাঁধা ছিল এবং মুখমণ্ডল ছিল ঝলসে যাওয়া ও তার মেহেদী রাঙা হাতে লেখা ছিল ‘আই লাভ ইউ এটি দেখে সকলেই বিস্ময় হতবাক। এলাকাবাসীর দাবি সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে ও প্রকৃত অপরাধী কে জানা যাবে।।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, মরদেহ হিমঘরে রাখা রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনকে হস্তান্তর করা হবে। সৃষ্ট ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।