মোঃ ইমন খাঁন,হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি।
লালমনিরহাট এর হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের পাটিকাপাড়ায় প্রেমের টানে চলে আসেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার তরুণী সাদিয়া খাতুন। জানা যায়, পাটিকাপাড়ার বাসিন্দা হাসানুজ্জামান পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদিয়া খাতুনের।
এপার থেকে ওপারে ফেসবুকে চলে যোগাযোগ।
প্রথমে পরিচয় তারপর বন্ধুত্ব, তারপর আস্তে আস্তে গড়ে ওঠে প্রেম।
তবে কথা থেকেই যায় যে, এ কেমন ভালোবাসা, এ কেমন ভালোলাগা দুচোখে না দেখেই ভালোবাসে তাকে। কোনো এক সময় চিঠি দেওয়া হতো প্রেম আদান প্রদানের জন্য।
কিন্তু এ যুগে এসে পরিবারের চোখ ফাকি দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করে গড়ে উঠেছে প্রেমের সম্পর্ক।
ছেলের পরিবার জানান, বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে প্রেমের টানে ২৭ জানুয়ারী রংপুরে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসেন সাদিয়া খাতুন। অন্যদিকে ছেলে এবং মেয়ের পরিবার খুজতে থাকেন তাদের সন্তানদের।
এমন সময় খবর পান যে- হাসানুজ্জামান মেয়ে নিয়ে ঘুরতেছে রংপুরে। তারপর তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর মেয়ের বাড়িতে খবর দেওয়া হলে তারা ছেলের বাড়িতে হাজির হন মেয়ের পরিবার। তারপর দুই পরিবার বসে মিটমাট করে মেয়েকে তুলে দেন ছেলের পরিবারের হাতে। এবং মেয়েকে পেয়ে খুশি সাদিয়ার পরিবার।
মেয়েকে আদর যত্ন করে তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে খুশি হাসানুজ্জামানের পরিবার।
ছেলের বড় ভাই জানান, ২৭ তারিখে সন্ধার পর তাঁকে খুজতে গিয়ে রংপুরে মেয়ে সহ দেখা যায়,তার পারিপার্শ্বিক দিক চিন্তা করে তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু তাদের উভয়ের কথা তারা একে অপরকে বিয়ে করবে। তারপর মেয়ের পরিবারকে জানানো হলে ৩ দিন পর তারা এসে জানান, মেয়েকে নিয়ে যেতে চায়। তারপর ছেলেপক্ষ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে ডেকে মিটমাট করেন। এরপর মেয়েপক্ষের সম্মতিক্রমে ছেলে পক্ষ স্টামে স্বাক্ষর নিয়ে মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দেয়।