ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি,মোঃঅহিদুজ্জামান লস্কর অপু:
মাওলানা জয়নাল আবেদীন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব কুটাপাড়ার কৃতি সন্তান। ছোটো বেলা থেকেই দ্বীনি শিক্ষা অর্জন শেষে ১৯৮৮ সালে সরাইল উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে পেশ ইমাম হিসেবে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ ৩৬ বছর ইমামতি করেন।
সারা দেশে উপজেলা ভিত্তিক মডেল মসজিদ নির্মাণের অংশ হিসেবে সরাইল উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মিত হওয়ায় মডেল মসজিদের নতুন ইমাম, মোয়াজ্জেন নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান। এমতাবস্থায় ইমামতির একাডেমিক সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ষাটোর্ধ্ব বয়স হওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফের ইমামতির আবেদন করতে পারেন নি তিনি।
নিজ বাড়ি কুট্টাপাড়া থেকে সাইকেল যোগে এসে কষ্ট করে দীর্ঘ তিন যুগ ইমামতি করেছেন তবে হাদিয়া হিসেবে পেয়েছেন প্রতিমাসে সর্বশেষ সাড়ে ৫ হাজার টাকা।
মাত্র সাড়ে ৫ হাজার টাকা মাসিক হাদিয়ায় দীর্ঘ ৩৬ বছর ইমামতি করে জীবন সংসার পরিচালনাকারী একজন ইমাম অবসরকালীন সময়ে বাড়ি যাওয়ার সময় নিয়ে গেলেন কেবল একটি পাঞ্জাবি আর পায়জামার কাপড়!
যেখানে দেশের সরকারি-বেসরকারি লক্ষ লক্ষ চাকুরীজীবিদের সম্মানজনক বেতনসহ অবসরকালীন মোটা অংকের পেনশনের টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে সারা জীবন ইমামতি করে একজন ইমামকে শুধুমাত্র একটি পাঞ্জাবি আর পায়জামার কাপড় নিয়ে পরকালে কিছু প্রাপ্তির আশায় সন্তোষ্ট থাকতে হচ্ছে।
কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সুন্দর সুন্দর ও কারুকার্য মসজিদ নির্মাণ করা হলেও মাওলানা জয়নাল আবেদীন হুজুরদের মত ইমামদের সম্মানি ও পেনশনের টাকা দিতে আমাদের যতসব সমস্যা ও অভাব। সেই আদিকালের সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দিয়েই চলছেন ইমাম মোয়াজ্জেনগণ। দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সবকিছুর পরিবর্তন হলেও কেবল পরিবর্তন হচ্ছে না ইমাম মোয়াজ্জেনদের সম্মানি।
দেশের প্রতিটি মসজিদের ইমামদের নুন্যতম সম্মানি ২০ হাজার টাকা প্রদানসহ ইমামদের অবসরকালীন পেনশন প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি করছি।