মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উপকূলীয় অঞ্চলে নারী-শিশুর শিক্ষা প্রসারে বড় বাঁধা জলবায়ু পরিবর্তন সখীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু টাঙ্গাইলের স্রোতস্বিনী সুন্দরী খাল যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে নাগরপুরের পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি: ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বর্তমান অবস্থা রায়পুরে মাদক বিক্রয় বাধা দেওয়া মারধর ১জন আহত লালমনিরহাটে সাংবাদিকের উপর হামলাকারী মাইদুল গ্রেফতার নতুন বছর কে স্বাগত জানাতে চলছে চাঁদাবাজির হিরিক হাজারীবাগে লালমনিরহাটে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের গন সমাবেশ অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে নবগঠিত হলো শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন; সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা চাষীদের।

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ৭১ Time View

মোঃশাওন ইসলাম শরনখোলা প্রতিনিধি:

 

শরণখোলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের সমারোহ। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হবে এমনটাই আশা করছেন চাষিরা। এ কারনে যেদিকে দু’চোখ যায় সেদিকেই শুধু সরিষার ফুল। এ যেন হলুদের সমারোহ।

 

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে,চলতি মৌসুমে শরণখোলায় সরিষা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০০ বিঘা। সেখানে চাষাবাদ হয়েছে ৫০০ বিঘা জমিতে। যা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নেই হয়েছে। এর মধ্যে ২ নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নে সব থেকে বেশি চাষাবাদ হয়েছে। ওই ইউনিয়নের পূর্ব খোন্তাকাটা, পশ্চিম খোন্তাকাটা, মঠেরপাড় ও রাজৈর এলাকায় ব্যাপক সরিষার আবাদ করা হয়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় ফসল ভাল হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

 

কৃষি বিভাগ বলছেন, উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা এবং সঠিক পরামর্শের কারনেই শরণখোলায় সষিার আবাদ বেড়েছে। উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের কৃষক মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ নাছির উদ্দিন, টিপু মুন্সি, রানী আক্তারসহ অনেকেই বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে তারা প্রতিবছর সরিষা চাষ করেন। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফুল অনেক ভাল হয়েছে। বিঘা প্রতি তাদের ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে আশা করছেন প্রতি বিঘায় ৭ থেকে ৮ মন সরিষা পাবেন।

 

উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব হাসান বলেন, মৌসুম শুরুর আগে থেকে তৈল বীজ আবাদ বৃদ্ধি করার জন্য এ কার্যক্রম হাতে নেন। সেই লক্ষ্যে কৃষি অফিসের পরামর্শে উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সরিষা চাষাবাদ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন।

 

উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার মোঃ মোস্তফা মশিউল আলম বলেন, এবছর সরিষা ক্ষেতে কোনো পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই বলে সরিষার ফলন হতে পারে ৭৫ মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় ১০ মেট্রিক টন বেশি।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, বাজারে সরিষার ব্যাপক চাহিদা ও ভাল দাম থাকায় শরণখোলার কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। তাছাড়া কৃষি অফিসের বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে কৃষকরা সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। মাঠে বারি সরিষা ১৪, বারি ১৭ ও বিনা ৯ জাতের সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আগামী বছর প্রায় এক হাজার বিঘা জমি সরিষা চাষের আওতায় আসবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102