নীলফামারী প্রতিনিধি,মোঃ গোলাম রব্বানী:
নীলফামারী সদরে যাত্রীবেশে উঠে চালকের ভরসা অর্জন করে চেতনানাশক ওষুধের মাধ্যমে ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক আব্দুস সামাদ ওরফে আব্দুল্লাহ (৬০) হত্যার মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি ও ছিনতাই মামলাও রয়েছে।
সোমবার(১৫ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর, সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মুলপরিকল্পনাকারী নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুশরত কুখাপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে চুরির মফিজুল ইসলাম ওরফে হাজী(২৫) ও সদরের রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি গ্রামের মৃত আকিবার রহমানের ছেলে বাবু মিয়া(৩০), দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সিট আলোকদিহি গ্রামের মৃত খায়রুল ইসলাম ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৮) এবং চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর পলাশবাড়ি এলাকার আজাহার হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন(২৮)।
সেই সঙ্গে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক ওষুধসহ চুরি যাওয়া অটোচার্জার ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিন্যাকুড়ি গ্রামের মৃত খটু মামুদের ছেলে আব্দুস সামাদ ওরফে আব্দুল্লাহ ঘটনার দিন ৮ জুলাই অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন। গ্রেফতার আসামিরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে জেলার ডোমার উপজেলার ধরণীগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে পরিকল্পিতভাবে আসামি বাবু মিয়া ও মফিজুল ইসলাম জুসের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে কলমদার ব্রিজের পশ্চিম পাশে শ্মশান ঘরে ফেলিয়া ভ্যানটি নিয়ে যায়।
ওই দিন দুপুরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে আব্দুল্লাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে গেলে, একদিন পর মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সদর থানার ওসি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর পুলিশ সুপার, সদর সার্কেলের নির্দেশে পুলিশের চারটি চৌকস টিম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম ওই ক্লুলেস মামলার আসামি ও চার্জার ভ্যান ৭২ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করে।
সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, বিকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আসামীদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।