মোঃ হানিফ মিয়া,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটে মেধাবী কলেজ ছাত্র শাহিনুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নির্দোষ দাবি করে পুলিশ প্রশাসনের দাড়ে দাড়ে ঘুরছেন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত না থাকা আসামীর স্বজন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশনমোড় এলাকার ফ্রুটভলি নামের রেস্টুরেন্টে আসামীদের পক্ষে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন হয়েছে স্বজনরা। এছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত ছিল না দাবি করে গত ২৭জুন বিকেলে লালমনিরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মোড় (দক্ষিণ হাঁড়িভাঙ্গা) এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি করেন।
নিহত শাহিনুর ইসলাম (১৯) লালমনিরহাট মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চিনি পাড়া এলাকার কাশেম আলির ছেলে। তিনি পৌরসভার শেখ শফিউদ্দিন কমার্স কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র এবং পাশাপাশি ইলেকট্রনিকের কাজ করতেন। আসামীরা হলেন, শুক্কুরের ছেলে মোতালেব মিয়া, একই এলাকার মোতালেব মিয়ার ছেলে দুলু মিয়া (২৫), আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মিজান মিয়া (৩০), গাইবান্ধা জেলার এনামুল হক (৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসামী স্বজন আইরিন আক্তার আখি। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নির্দোষ পথযাত্রীদের উপর দায় চাপানোর হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত হত্যাকারীদের সনাক্ত হবে। এছাড়াও অসহায় নির্দোষ মানুষ গুলো বেঁচে যাবে।
শাহিনুরের পরিবার জানান, গত ১৯ জুন রাত ৮টার দিকে লালমনিরহাট মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চিনি পাড়া এলাকার কাশেম আলির কলেজ পড়ুয়া ছেলে শাহিনুর ইসলাম (১৯) বাজার থেকে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রাস্তার সাইড নেয়ার জন্য কলিং বেল বাজানোকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত আসামি মোতালেব মারধর করে। পরে অভিযুক্ত আসামি মোতালেবের পরিবারকে খবর দিলে তার ছেলে দুলু দুই মেয়ে জামাই মিজান ও এনামুলসহ শাহিনুরকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আহত শাহিনুরকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তার অবস্থা আশংক্ষজনক হলে ওইদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। টানা ৭দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার (২৬ জুন) ভোরে শাহিনুরের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে শাহিনুরের চাচা জসিমউদ্দিন বাদী হয়ে চার জনকে আসামী করে লালমনিরহাট সদর থানায় শুক্কুরের ছেলে মোতালেব মিয়া, একই এলাকার মোতালেব মিয়ার ছেলে দুলু মিয়া (২৫), আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মিজান মিয়া (৩০), গাইবান্ধা জেলার এনামুল হক (৩৫)। আসামী করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ৮দিন পেড়িয়ে গেলেও এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি সদর থানা পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, সংবাদ সম্মেলনের বিষয় আমার জানা নেই। এ বিষয়ে একটি হত্য মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, আসামীরা পালাতক থাকায় গ্রেফতার করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে।