সখিপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি,মোঃ আবু বকর সিদ্দিক (অপু):
টাঙ্গাইল বাসাইলে গভীর রাতে কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙে লিলুফা বেগম নামে এক নারীর। তখন ভয়ে তার ছেলে ও তার ছেলের বউ ও তার বড় ভাসুরকে ডাক দেয়।
পরে কান্নার উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখতে পায় পিঁপড়া জড়িয়ে থাকা এক নবজাতক অঝোরে কান্না করছেন। সেখান থেকে দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে কোলে তুলে নেন তিনি।
গত মঙ্গলবার (০২ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার কাশিল মধ্যপাড়া গ্রামের প্রবাসী সাত্তার মিয়ার বাড়ির বাথরুমের পাশ থেকে ওই নবজাতকটি পড়েছিল। সাত্তার মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম কান্নার শব্দ পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এনিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
নিলুফা বেগম জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। পরে কান্না শব্দ পেয়ে ভয় পেয়ে ভয় পেয়ে আমার ছেলে ও ছেলের বউ ও বড় ভাসুরকে ডাক দেওয়া হয়। পরে কান্নার উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখতে পায় পিঁপড়া জড়িয়ে বাথরুমের পাশে পড়ে থাকা এক নবজাতক অঝোরে কান্না করছেন।
তিনি আরও জানান, আমার ওড়না দিয়ে শিশুটিকে পিচিঁয়ে কোলে তুলে নেই এবং শরীরে লেগে পোকা-মাকড় ছাড়িয়ে গোসল করাই। পরে দ্রুত বিষয়টি আশপাশের জানাজানি হলে বুধবার (৩ জুলাই) ভোর থেকে বাড়ি লোকজনের ভিড় জমে। আমি যেহেতু পেয়েছি, তাই সরকারের কাছে দাবি করব, যাতে করে শিশুটিকে আমাকে লালন পালন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নিলুফা বেগমের ছেলে আকাশ মিয়া বলেন, রাতে আমাকে ও আমার স্ত্রী ডাক দিলে বের হয়ে দেখি সবাই ভয়ে কাঁপছে। পরে লাঠি হাতে নিয়ে সামনে লাইট ধরে দেখি একটি শিশু পড়ে আছো। পরে আমরা উদ্ধার করি।
কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমজান মিয়া বলেন, আমাকে সকালে স্থানীয়রা খবর দেয় যে, এরকম একটি শিশু পাওয়া গেছে। পরে আমি ঘটনাস্থলে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় ফোন করি। পরে পুলিশ এসে নবজাতকটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় বাসাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার বলেন, বাচ্চাটিকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। তারপর আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া তদন্ত করা হচ্ছে যে, কে-বা কারা এই শিশু ফেলে রেখে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহরুখ খান বলেন, নবজাতকটিকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে। এছাড়া নবজাতকটির চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় নবজাতকটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন