এম এ খাঁন ইমন,হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:
রাসেল ভাইপার সাপ, এই সাপের বিশেষত্ব হচ্ছে, এরা খুবই বিষাধর। বাংলাদেশে যেসব সাপ দেখা যায় তারমধ্যে এটি সাথেকে বিষাক্ত। কাউকে ছোবল দিলে এন্টি ভেনম দিলেও বাঁচার সম্ভাবনা ২০%.।।এন্টি ভেনম এটার টা নাই এ দেশে।আর এই দেশের জলবায়ুতে প্রকৃতিতে এদের কোন অবদান নাই।
আরও ভয়ংকর ব্যাপার হল অন্যান্য সাপ সাধারণত নিজেরা আক্রান্ত হলে কিংবা সরাসরি কারও সামনে পড়লে ছোবল দেয় অন্যথায় কামড় দিতে আসে না বরং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রাসেল ভাইপার দূরে থেকে মানুষ দেখলেও তেড়ে আসে আর কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে। এই সাপ দংশনে দংশিত স্থানে রক্ত ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রোমাগত রক্তপাত, রক্তজমাট বাধা, স্নায়ুবৈকল্য, চোখ ভারি হয়ে যাওয়া, বক্ষাঘাত কিডনি ক্ষতি সহ বিভিন্ন শারীরিক উপস্বর্গ দেখা দিতে পারে।
অন্য সাপ ১ রকম বিষ ধারন করলেও,,রাসেল ভাইপারের বিষ একই সাথে ৫/৬ ধরনের হয়।এই সাপ খুবই দ্রুত বংশ বিস্তার করে এরা সরাসরি বাচ্চা দেয়—৫০ থেকে ৮০ টি পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে।
সম্প্রতি রাজশাহী,নাটোর,পাবনা,মানিকগঞ্জ,মাওয়া,পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় এই সাপের উপদ্রব বেড়েছে।তাই সরকারিভাবে যদি এই সাপ নিধনের উদ্যোগ না নেয়া হয় তাহলে বর্ষার মৌসুমে সারা বাংলাদেশে এই সাপ ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।