হৃদয় আহমেদ, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জনাব ড. সৌমিত্র শেখর আজ ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, রোজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এক লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে, এই বছর বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত অমর একুশে বই মেলায় প্রথমবারের মতো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব স্টল থাকবে। স্টল নাম্বার হবে ৮১০।
উপাচার্যের এমন বিবৃতি দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মাঝে এক আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
বইমেলা’ কিংবা ‘গ্রন্থমেলা’ শব্দ দু’টির যেকোনো একটি শব্দ শুনলেই প্রতিটি পাঠকের চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাংলা একাডেমী আয়োজিত একুশে বইমেলা নানা রকম স্থিরচিত্র । যে মেলা বইপ্রেমী মানুষের প্রাণে দোলা দেয়।
কোনো এক অদৃশ্য শক্তিবলে লাখো মানুষকে টেনে আনে বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউস প্রাঙ্গণে।
অমর একুশে বই মেলা বাঙ্গালি পাঠক ও লেখক সমাজে একুশে বইমেলা নামে পরিচিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের মতো এই বই মেলার ইতিহাস সুপ্রাচীন ও সমৃদ্ধ।
যতদূর জানা যায়, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শ্রী চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউসের সামনের বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার শুরু করেন। এই ৩২টি বই ছিলো চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বর্তমানে মুক্তধারা প্রকাশনী) থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশি শরণার্থী লেখকদের লেখা বই।
১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমী মহান একুশে মেলা উপলক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ হ্রাসকৃত মূল্যে একাডেমী প্রকাশিত বই বিক্রির ব্যবস্থা করে। এর পাশাপাশি মুক্তধারা, স্টান্ডার্ড পাবলিশার্স এবং এদের দেখাদেখি আরও কেউ কেউ বাংলা একাডেমীর মাঠে নিজেদের বই বিক্রির ব্যবস্থা করে।
১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক এই বই মেলার নামকরন করা হয় “অমর একুশে গ্রন্থমেলা” হিসেবে।
যার ধারাবাহিকতা থেকেই এই বছরও বাঙ্গালির ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে আয়োজন করা হবে অমর একুশে বই মেলা।