নীলফামারী প্রতিনিধি, মোঃ গোলাম রব্বানী।
ডোমারের বামুনীয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনে ৪টি পদে কর্মচারী নিয়োগ প্রদানের অভিযোগে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।বৃহষ্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে বামুনীয়াবাসীর ব্যানারে গোপনে নিয়োগের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়। এর আগে সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রনজিত অধিকারী দিলীপের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বিপিএএ এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ঝাড়ুদার পদে নিয়োগ বঞ্চিত পৌনা বাসফোড় ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কম্পিউটার ল্যাব, অফিস সহায়ক, আয়া ও ঝাড়ুদার এর শূন্য পদে গোপনে গত ২০ জানুয়ারী নিয়োগ প্রদান করে ২৩ জানুয়ারী সকাল ৭টায় নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন করেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।ঝাড়ুদার পদে প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ২লক্ষ ও সভাপিত রনজিত অধিকারী দিলীপ ৪০হাজার টাকা নিয়ে পৌনা বাসফোড় নামে এক চাকুরী প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করেননি। পৌনা বাসফোড়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এলাকাবাসী নিয়োগ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধনে অংশ নেয়।এ ব্যাপরে প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়ম মাফিক মিটিং ডেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে অভিযোগকারীদের অভিযোগ সত্য নয়। ২৩ জানুয়ারী আমার বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাবের ট্রেনিং ছিল। সেসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম ও ডোমার গার্ল্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক এলে আমি তাদের ট্রেনিং পরিদর্শনের অনুরোধ করি। এবং নিয়োগ পরিক্ষাটি ২০ জানুয়ারী দুপুর ২টায় সম্পন্ন হয়েছে। টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রনজিত অধিকারী দিলীপের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম জানান, উল্লেখিত নিয়োগ বিধি মোতাবেক ২০ তারিখে সম্পন্ন হয়েছে। ২৩ তারিখ গোমনাতী স্কুল যাওয়ার পথে বামুনীয়া এসসি বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করা হয়েছে।