২ জুন রবিবার সোহাগ মিয়া (৩৫) নামের একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন। নিহত সোহগ মিয়া রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামের মৃত এমদাদ হোসেনের ছেলে।সোহাগ মিয়া তার পরিবারের সাথে নরসিংদী সদরের চিনিশপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায় সোহাগ মিয়া বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিক সমস্যায় ভোগছিলেন তার সুস্থতার জন্য পরিবার চিকিৎসা ও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এলাকাবাসী আরও জানান এর আগেও তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তখন রশি ছিড়ে যাওয়ার কারণে তিনি বেঁচে যান।
১ জুন শনিবার সন্ধ্যায় সোহাগ মিয়া বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেননি। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা আশেপাশের এলাকা সহ সম্ভাব্য সবখানে খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।রবিবার সকালে স্থানীরা চিনিশপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া কবরস্থানের পাশে একটি জাম গাছে সোহাগ মিয়ার মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
নরসিংদী মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ ইউসুফ বলেন আমারা এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবরটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মৃতদেহটি উদ্ধার করি তিনি আরও বলেন স্থানীয় সুত্র মতে সোহাগ মিয়া মানসিক সমস্যায় ভোগ ছিলেন এর আগেও তিনি আত্নহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন।পুলিশের পক্ষথেকে আরও বলা হয় তার পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।