সখীপুরে ভূমি দস্যু অভিহিত করে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বাচ্চু। অভিযোগ রয়েছে, ফজলুল হক বাপ্পা নামের কথিত এক হলুদ সাংবাদিক বাচ্চুর নিকট দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অভিযুক্ত ফজলুল হক বাপ্পা ওই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যু, প্রতারক, চাঁদাবাজ এসব উল্লেখ করে নিউজ করে চলেছেন।
এসবের প্রতিবাদ করে ফজলুল হক বাচ্চু তাঁর নিজ কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফজলুল হক বাচ্চু বলেন, আমার বাবার ক্রয়কৃত জমির মামলার তিনটি ডিক্রি রয়েছে, সম্পুর্ণ আইনসিদ্ধভাবেই আমরা সম্পত্তি ভোগ দখলে আছি। তিনি উল্লেখ করেন, আদর্শ শিশু কানন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি আমার বাবার দানকৃত। অথচ ওই হলুদ সাংবাদিক উল্টো আমার বিরুদ্ধে স্কুলের জমি দখলের অসৎ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর মিথ্যা নিউজে আমার বিরুদ্ধে প্রয়াত হামিদুল হক বীরপ্রতীকের জমি দখলের উল্লেখ করেছেন, কিন্তু জানিনা যে তাঁর জমি কোথায় কিভাবে আছে।
এছাড়া শাহজাহান মিলিটারির জমির বৈধ খাজনা খারিজসহ বৈধ কাগজপত্র আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে উপস্থাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলীয় পরিচয়ে বাপ্পা আমার নয শতাংশ জমি জবর দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছে, আসলে সে নিজেই প্রকৃত ভূমি দস্যু। এছাড়াও সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকুরী, বিদেশে নেওয়ার নামে টাকা নিয়েও সাধারণ অসহায় মানুষের সঙ্গে প্রতারণাও করেছেন যার একাধিক অভিযোগ থানায় রয়েছে।সে নিজেকে কখনো সাংবাদিক, কখনো সরকার দলীয় নেতা, কখনো স্থানীয় সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ লোক দাবি করে মানুষজনকে ভয় ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও বলেন, কথিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভন্ডামী ও প্রতারণা করে যাচ্ছে।স্থানীয় সংসদ সদস্য, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ও মিডিয়াকে উল্লেখ করে ফজলুল হক বাচ্চু বলেন, এ প্রতারক, ভন্ড, হলুদ সাংবাদিকের সকল প্রকার অপপ্রচার,অপসাংবাদিকতার প্রতিকার এবং বিচার চাই।