টাঙ্গাইলের সখীপুরে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের কর্মী সমর্থকের উপর বর্তমান এমপির কর্মী সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার( ২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সখীপুর উপজেলার নলুয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সাবেক এমপির ৮ কর্মী ও স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিক আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাবেক এমপির অনুসারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে তালা ভেঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং পরের দিন সাবেক এমপির ছবি কার্যালয়ের পিছনে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় সাবেক এমপির কর্মী সমর্থকেরা উপজেলার ফোয়ারা চত্বরে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে কিন্তু বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির অনুসারীরা সকাল থেকে ফোয়ারা চত্বর দখলে নিয়ে মহড়া দিতে থাকে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরোধে সংঘাত এড়াতে তারা উপজেলা থেকে নয় কিলোমিটার দূরে নলুয়া বাজারে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এ খবর পেয়ে উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নলুয়া বাজারে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে হামলা করে।
এতে সাবেক সংসদ সদস্যের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ – সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম আতিকুর রহমান আতোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনি আহমেদ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার কামরুল হাসান,
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান লিটন, হাতিবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহজালাল, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আজমত আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন সিকদার। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাপ্তাহিক সখীপুর বার্তার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসানকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আতিকুর রহমান আতোয়ার বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান এমপি জয় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদারের নামে স্লোগান দিয়ে হেলমেট পরে হাতুড়ি রড দিয়ে তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান এমপি অনুপম শাহজাহান জয় বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক দলের অতি উৎসাহী কেউ যদি এটা করে থাকে খুব দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।