এনজিওর ৪ লাখ টাকা ঋণের বোঝা সইতে না পেরে রাজমিস্ত্রীর আত্মহত্যা – dainikprothombarta    
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টঙ্গীতে বিকাশ এজেন্টকে গুলি করে ৫০ লাখ টাকা ছিনতাই রায়পুরে অবৈধ মাটি ও নদীর চর কাটায় যুবকের ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড টাংগাইলে সময়ের সাহিত্য কন্ঠ পত্রিকার চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ২০২৫ হাদীকে গুলিবিদ্ধের প্রতিবাদে বেলকুচিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল  মাদারগঞ্জে নবাগত ইউএনও ও ওসি সাথে গণঅধিকার পরিষদের সৌজন্য সাক্ষাৎ টঙ্গী স্টেশন রোডে ছিনতাইকারী আটক, এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা জোরদার সরাইল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সেমিনার অনুষ্ঠিত।  গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী সেজে দুদকের আকস্মিক অভিযান টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল পিছালো ব্রাকসু নির্বাচন ২১ জানুয়ারি ২০২৬

এনজিওর ৪ লাখ টাকা ঋণের বোঝা সইতে না পেরে রাজমিস্ত্রীর আত্মহত্যা

  • Update Time : সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৫৮৭ Time View

নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীর রায়পুরায় এনজিওর ৪ লাখ টাকা ঋণের বোঝা সইতে না পেরে সুকুমার বিশ্বাস (৪০) নামে এক রাজমিস্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত সুকুমার বিশ্বাস ওই এলাকার মৃত প্রমোদ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে ওই এলাকায় কড়ই গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিরিজকান্দি দক্ষিন পাড়া এলাকায় দুপুর পৌনে ১ টায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত সুকুমার বিশ্বাস স্ত্রী এক ছেলে সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। গত চার বছর ধরে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ তুলে অসুস্থ স্ত্রী সন্তানের চিকিৎসা করান। এরি মধ্যে তিনি প্রায় চার লাখ টাকা ঋন গ্রস্ত হন। এনজিও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে হতাশা গ্রাস্ত ছিলেন বলে জানা পরিবারের লোকজন। সোমবার দুপুরে হঠাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির ফিছনে কড়ই গাছের ডালে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বিকেলে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে থানায় নিয়ে আসে।
স্বজনদের অভিযোগ ১১ টি এনজিওর প্রায় ৪ লাখ টাকা ঋণের চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের স্ত্রী চন্দনা রানী বিশ্বাস বলেন, আমার স্বামী আগে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো৷ পরে আমিসহ সেও অসুস্থ হয়ে পরায় চিকিৎসার জন্য এনজিও থেকে টাকা লোন করি। পরে এ টাকা পরিশোধ করার জন্য আরেকটি এনজিও থেকে লোন তুলেন৷ এভাবে তিনি ৪ বছরে মোট ১১ টি এনজিও থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা লোন করে। কাজ করতে না পারায় হতাশায় ছিলেন। ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাই। দুপুরে বাসায় এসে আত্মহত্যার খবর শুনে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ধারণা করা হচ্ছে এসব টাকা পরিশোধ না করতে পেরে তিনি কষ্টে আত্মহত্যা করেছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম ও রায়পুরা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মীর মাহবুব চৌধুরী, উপপরিদর্শক নবী হোসেন৷

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারি। সে দীর্ঘদিন যাবত ঋণ গ্রস্ত ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ঋনের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্তে শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102