
এম. শাহাবুদ্দিন (দুর্গাপুর) রাজশাহী
ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন। অবৈধভাবে পুকুর খননের অভিযোগে এক পুকুর মালিককে ৫০,০০০ টাকা অর্থদন্ড দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত।
রাজশাহীর দুর্গাপুরে যেখানেই ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন সেখানেই ভ্রাম্যমান আদালাতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফসলি জমি নষ্ট করে আর কোন পুকুর খনন করতে দেওয়া হবেনা এমন-ই শক্তপোক্ত সিদ্ধান্তে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
পুকুর খনন বন্ধে দুর্গাপুর উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের হাড়িয়াপাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
পুকুর খনন করা হচ্ছে এমন খবরে ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি কৃঞ্চচন্দ্র এর নেতৃত্বে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলা ঝালুকা ইউনিয়নের হাড়িয়াপাড়া বিলে ভ্রাম্যমান আদালত হানাদেয়। সেসময় পুকুর খনন করার অভিযোগে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত সাইফুল ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট অঙ্গিকার করে ভূলস্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কৃঞ্চচন্দ্র পুকুর খনন করবেনা মর্মে মুচলেকা নিয়ে প্রাথমিকভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট দন্ডিত বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এ ৫০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
দুর্গাপুর উপজেলায় ফসলি জমিতে পুকুর খনন করার চেষ্টা করলে সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর জন্য বলেন তিনি। তারপরও কেউ যদি আইন অমান্যকরে পুকুর খননের চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।