হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি:-
লালমনিরহাট জেলা’র এক অন্যন্য নিদর্শণস্বরুপ মসজিদ। লালমনিরহাট জেলা হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের ভারতের সিমান্ত ঘেষা এলাকায় অবস্থিত ভাঙ্গা মসজিদ বর্তমানে বড় মসজিদ নামে পরিচিতি তবে কেরামতিয়া মসজিদ নামে ইতি মধ্যে প্রাধন্য পেয়েছে।
প্রাচীন কালে মসজিদ যে নিদর্শন পাওয়া যায় তা প্রস্থ ৭ ফুট এবং দৈঘ্য ১২ ফুটের মত পাশে পাকা করা একটি কবর পাওয়া যায়, কবরটি উপর হতে পাকা করা, ধারনা করা হয় কোন এক বুজর্গ এবং তাঁর সঙ্গীসহ নামায আদায় করতেন। বুজর্গ হুজুর পরলোকগমন করলে। পাশে যে কবরটি অবস্থিত সেই কবর হুজুর বুজর্গের।
তবে সেই প্রাচীন কালে মসজিদ কবর কখন কবে কোন সমায়ে অবস্থিত হয়েছে তা সঠিক কেউ বলতে পারেন না। পরবর্তিতে স্থানীয় লোকজন প্রাচীন কালের মসজিদ এবং কবরের পাশে ছোট মসজিদ নির্মাণ করেন এবং প্রতিনিয়ত নামাজ আদায় করেন।
ভারতে সিমান্ত ঘেষা মসজিদ’টি অবস্থিত হাওয়ায় কালক্রমে মসজিদটি জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। মসজিদ মূল স্থাম্ভ বাংলাদেশের মাটিতে আর বারান্দা ভারতে মাটিতে বলতে গেলে মসজিদে প্রবেশ করতে ভারতে মাটিতে সেন্ডেল জুতা রেখে বাংলাদেশের মাটিতে নামাজ আদায় করতে হয়।
মসজিদ বাংলাদেশের মাটিতে আর বারান্দা ভারতে মাটিতে এমন কথা লোক মুখে প্রচার হতে থাকে এমনি করে প্রতি শুক্রবার দুরদুরান্ত হতে অনেকে পবিত্র জুম্মা নামাজ আদায় করতে আসেন। ফলস্রুতিতে নামাজের জন্য জায়গা সমস্যার সম্মখিন হতে হয়। মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং স্থানীয় লোকজন মসজিদ বড় আকারে এবং দ্বীতল করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। ২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং তৎ প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জননেতা জনাব আলহাজ্ব মোঃ মোতাহার হোসেন এম পি মহোদেয়র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মসজিদ প্রসার এবং দ্বিতল ভবনের শুভ উদ্ভোধন করা হয়। কিন্তু মজসিদ নির্মাণ কাজ শুরু হাওয়ার আগে বাঁধ সাজে ভারতীয় সিমান্ত রক্ষী বাহিনী আন্তজাতিক সিমান্ত রেখা নিয়ম মানা হয়নি এমন অজু হাতে মজসিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ জনাব মোতাহার হোসেন এম পি মহোদয় এবং দুই দেশের অন্ত পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সুপারিশের মাধ্যমে ২০১২ সালে নির্মান হলে আবারো বাঁধ সাজে ভারতীয় সিমান্ত বাহিনী। আবারো দু’দেশের আন্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শুরু হয় আবারো নির্মাণ কাজ। ২০২০ সালে ২য় তলা পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষের দিকে।