শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে, সিসিইউতেই চলছে চিকিৎসা

মোঃ ফরিদ হোসেন
  • Update Time : বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২৭ Time View

গাজীপুর পতিনিধি 

 

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো আইসিইউতে নন—চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতেই রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছেন।

 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনের অর্থ হলো রোগীর ফুসফুস আর স্বাভাবিকভাবে পর্যাপ্ত কাজ করতে পারছে না। অক্সিজেনের ঘাটতি, কার্বন ডাই–অক্সাইড জমে থাকা বা অত্যধিক শ্বাসকষ্ট—এসব কারণে ভেন্টিলেশনের সহায়তা নিতে হয়।

 

কেন ভেন্টিলেশন প্রয়োজন হলো?

 

১. শ্বাস নেওয়ার দায়িত্ব আংশিকভাবে মেশিন নিচ্ছে

ভেন্টিলেটর সঠিক পরিমাণে বাতাস ভিতরে দিচ্ছে এবং বাইরে বের করতে সাহায্য করছে। এতে রক্তে অক্সিজেন ঠিক রাখা এবং CO₂ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

 

২. শ্বাস নেওয়ার পরিশ্রম কমে যায়

দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসে শ্বাস নেওয়া নিজেই শরীরের জন্য বিশাল চাপ। ভেন্টিলেশন সেই চাপ কমিয়ে শরীরকে স্থিতিশীল রাখার সুযোগ তৈরি করে।

 

৩. মূল রোগের চিকিৎসায় সহায়ক

সেপসিস, নিউমোনিয়া, সিওপিডি, হাঁপানি বা অন্যান্য জটিল অবস্থায় ভেন্টিলেটর শরীরকে সময় দেয়, যাতে ওষুধ ও চিকিৎসা কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।

 

৪. শ্বাসের গতি, চাপ ও অক্সিজেন নিয়ন্ত্রণে থাকে

চিকিৎসকেরা ঠিক করে দিচ্ছেন রোগীর জন্য কত শতাংশ অক্সিজেন ও কতটা প্রেসার দরকার—যাতে ফুসফুসে বাড়তি চাপ না পড়ে।

 

৫. এটা শেষ ধাপের চিকিৎসা নয়—রিকভারি প্রক্রিয়ার অংশও হতে পারে

অনেকেই ভুলভাবে মনে করেন ভেন্টিলেশনে মানেই অবস্থা সংকটময়। বাস্তবে এটি অনেকসময় সাময়িক সহায়তা, যাতে রোগী আবার নিজে শ্বাস নিতে সক্ষম হন।

 

চিকিৎসকদের বার্তা

 

বেগম খালেদা জিয়ার শ্বাস-প্রশ্বাসের লড়াইয়ে বর্তমান দুর্বলতার কারণে ভেন্টিলেটর সেই কাজ সাময়িকভাবে নিজের ওপর নিয়েছে—যাতে মূল রোগের চিকিৎসা আরও কার্যকরভাবে চালানো যায়।

 

পরিবার ও দলের আহ্বান

 

সবার কাছে দোয়া ও আশাবাদ ধরে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102