
মো: আমিনুল ইসলাম (কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি):-
কুমিল্লার মুরাদনগরে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে মুরাদনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।
দাফনে অংশগ্রহণ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মুরাদনগর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মো. হাজী আবদুল করিম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও বায়তুলমাল সম্পাদক আবু বকর সরকার, এবং জামায়াত মনোনীত সদর ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নাজমুস সাকিব তন্ময়সহ উভয় সংগঠনের আরও অনেক নেতাকর্মী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ও শারীরিকভাবে নানা জটিলতায় আক্রান্ত ওই নারী প্রায় এক মাস আগে স্থানীয়রা তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তখন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম মানিকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসায় ধীরে ধীরে কিছুটা সুস্থতাও লাভ করেন। তবে শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে তিনি হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ করেও তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ভর্তি হওয়ার পর থেকে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা সম্মিলিতভাবে ওই নারীর প্রতি খেয়াল রেখেছেন। হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরাও কখনো কখনো তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। আউটসোর্সিং কর্মী হোসনা আক্তার শুরু থেকেই তাকে বিশেষভাবে যত্ন ও সেবা দিয়েছেন বলে জানান তারা।
জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুস সাকিব তন্ময় বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয় যে একজন বেওয়ারিশ নারীর লাশ দাফনের ব্যবস্থা নিতে হবে। পরে আমরা জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে দাফনের ব্যবস্থা করি।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক জানান, “নারীটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় কোনো স্মৃতিশক্তি ছিল না এবং নিজের নাম-পরিচয়ও জানাতে পারেননি। তার শরীরে চুলকানিসহ কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়েছি। কিছুটা উন্নতি হলেও হঠাৎ করেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।”