খুলনা,কয়রা প্রতিনিধি:
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশির ৬ নং ওয়ার্ডে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট, বালুর বদলে মাটি। রাস্তাটিতে নিম্নমানের ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ৬নং ওয়ার্ডের মাটির রাস্তায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট ইটের সলিং বসাতে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মজিবরের ব্রিজ হইতে ১০০০ মিটার রাস্তায় নির্মাণ কাজ চলছে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দফতর (পিআইও) কাজ বন্ধ করে দিলেও ঠিকাদার কোন কর্নপাত না করে কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে নিজের মত করে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে,এ সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার কাজে যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিম্নমানের ও নাম্বারবিহীন। এতে ব্যবহৃত বালুর মধ্যেও রয়েছে বেশিরভাগ মাটি।
স্থানীয়রা এসব দিয়ে রাস্তার কাজ করতে নিষেধ করলেও, ঠিকাদারের শ্রমিকরা তা শুনছেন না।বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত রাস্তাটির মান ভালো না হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দফতর (পিআইও) থেকে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ১০০০ মিটার রাস্তাটি পাকাকরণের দায়িত্ব পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাসির এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার নাসির উদ্দিন ।
অভিযোগ আছে, রাস্তাটি নির্মাণকাজের শুরু থেকেই অনিয়ম চলছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট ও বালু।
বোতল বাজার গ্রামের আনিছ মিয়া বলেন, রাস্তাটি যে ইট দিয়ে তৈরি হচ্ছে, তা কোনো নাম্বারের মধ্যেই পড়ে না। শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট-বালি দিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন ঠিকাদার।স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, নিম্নমানের ইট ও বালি দিয়ে রাস্তা তৈরি করার কাজ ১০-১২ দিন আগে শুরু হয়েছে। ইটের বুনন ফাঁকা ফাঁকা। রাস্তায় এক নাম্বার ইট বসানোর কথা থাকলেও, দেওয়া হচ্ছে নাম্বারবিহীন ইট। পিওর বালির পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মাটিযুক্ত বালি। যে পরিমাণ বালি দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। এভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হলে, তা বেশিদিন টিকবে না।
এ বিষয় জানতে চাইলে নাসির এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার নাসিরউদ্দিন সাহেব বলেন সব নিয়ম কানুন মেনেই কাজ করছি। আমার কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছে না।
কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মামুনুর রশীদ মমঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রতিবেদককে বলেন, রাস্তার কাজের মান খুব খারাপ বলে, আমি সরেজমিনে যেয়ে ১০০০ মিটারের কাজ দুইবার বন্ধ করে দিয়েছি।আমি চলে আসার পর তারা আবার কাজ শুরু করে ।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- মোঃ আবির ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক:- জামিল চৌধুরী
বার্তা সম্পাদক:- আরিফুল ইসলাম
হেড অফিস: ৪৭,পুরানো পল্টন আরবান পল্টন ভিউ কমাশিয়াল কমপ্লেক্স (৫ম তলা)
নিউজ মেইল: dainikprothombarta@gmail.com
যোগাযোগ: ০১৬৪৩-০৩১৩৭২/০১৮৬৮-৮৪৫৫৯৬
দৈনিক প্রথম বার্তা কর্তৃপক্ষ
Design And Develop By Coder Boss