
মো: আমিনুল ইসলাম (কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি):-
পুলিশ হলো একটি নীরব প্রহরীর নাম,প্রশ্ন আসতে পারে: কেনো-কিভাবে,উত্তরে বিস্তারিত বলতে গেলে আমার উপর কেউ কেউ রাগ করার পাশাপাশি একটু মনঃক্ষুণ্ণও হতে পারেন-তাই যারা আমার উপর রাগ-মন:ক্ষুন্ন হতে পারেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,দৈনিক প্রথম বার্তাকে দেয়া একটি একান্ত সাক্ষাৎকারের শুরুতে এমনটাই বললেন কুমিল্লার-মিরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনসার্ট পারভেজ আহমেদ।
পুলিশ একটি নীরব প্রহরীর নাম…
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেয় প্রশাসন— ইউএনও কিংবা এসি ল্যান্ড।
নদী রক্ষায় মাঠে নামে মৎস্য বিভাগ।
অবৈধ যানবাহন সরাতে কাজ করেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
কিন্তু এসব অভিযানে সবচেয়ে দৃশ্যমান কারা? পুলিশ।
সিদ্ধান্ত নেয় সিটি করপোরেশন, যেমন রিকশা ভাঙার ঘটনা।
কিন্তু সংবাদমাধ্যমে দেখা যায় শুধু পুলিশের ছবি।
সমালোচনার ঝড় উঠলে শুরু হয় দায় এড়ানোর চেষ্টা— বলা হয়, “শুধু ভয় দেখাতে ভাঙা হয়েছে।”
পরদিন রিকশাওয়ালাদের ডেকে দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণ, চাকরির প্রতিশ্রুতি।
প্রশাসক তখন হয়ে ওঠেন মহানায়ক।
আর পুলিশ?
অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হয়, নীরবে সহ্য করে সব অপবাদ।
এই দেশের পুলিশ যেন শুধু একটি হাতিয়ার নয়— বরং একটি পাপের প্রাচীর।
যার উপর সবাই আঘাত হানে, কিন্তু সে অটল থাকে, দাঁড়িয়ে থাকে।
বিচার চায় না, সম্মানও চায় না— শুধু দায়িত্ব পালন করে যায়।
এভাবেই যুগের পর যুগ ব্যবহৃত হয়ে চলেছে পুলিশ— নায়ক নয়, প্রয়োজনের সাথী মাত্র।