শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন

জিআই তালিকায় টাঙ্গাইলের আরেক গর্ব — ‘জামুর্কীর সন্দেশ’

  • Update Time : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫
  • ৯৪ Time View

হোসাইন মৃদুল,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মিষ্টি নিয়ে কথা উঠলে সবার আগে আসে ‘চমচম’-এর নাম। তবে এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আরেক ঐতিহ্যবাহী স্বাদ—মির্জাপুরের জামুর্কীর সন্দেশ। এটি এখন শুধু মিষ্টি নয়, ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত।

জানা গেছে, জামুর্কীর সন্দেশের সূচনা ব্রিটিশ আমলে, মদন মোহন সাহার হাত ধরে। পরে তাঁর পুত্র কালীদাস সাহা দুধ, চিনি, মসলা ও পাটালিগুড় দিয়ে তৈরি করেন নতুন স্বাদের সন্দেশ—যা আজও বহন করছে প্রজন্মের গৌরব। সময়ের পরিক্রমায় এই মিষ্টান্ন পরিণত হয়েছে একটি সাংস্কৃতিক সম্পদে।

জিআই সনদের প্রাপ্তি ও গর্বের মুহূর্তঃ

২০২৪ সালের ১ এপ্রিল জামুর্কীর সন্দেশের জন্য আবেদন করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সেই স্বীকৃতি এসেছে। গত বুধবার বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
লোকগাথা নয়, বাস্তব বাজারও চাঙাঃ

প্রতিদিন জামুর্কী বাজারে কয়েক হাজার কেজি সন্দেশ বিক্রি হয়। দোকান রয়েছে মাত্র কয়েকটি, কিন্তু চাহিদা সারাদেশে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ী সমর সাহা বলেন, “জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও স্বাদে কিন্তু একচুলও ছাড় দিই না। এখন তো দেশের বাইরেও মানুষ খোঁজ করেন আমাদের সন্দেশ।”

জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, “টাঙ্গাইলের তাঁত, চমচম, আনারসের মতো জামুর্কীর সন্দেশও দেশের গর্ব। এই স্বীকৃতি আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার পথে এক বড় মাইলফলক।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম জানান, “যারা সন্দেশ তৈরি করেন, সরকার তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পেরেছে—এটাই আমাদের সার্থকতা।”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102