শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

জাগ্রতকন্ঠ পরিষদ কথায় নয়,কাজেই শীর্ষে

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৩২ Time View

মো.সহিদ মিয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ জেলার অতি আলোচিত কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সুশীলদের নিয়ে, গঠিত এই সংগঠন ২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ২১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে কবি মো. সহিদ মিয়াকে সভাপতি ও অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার কে সহ-সভাপতি ও গীতিকার ইমরুল কয়েছ কে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত হয়।

সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মঈনুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গনে অগণিত জনতার ভিড়ে ঐদিন কবিতা পাঠের আসর বসে। হামদ,নাত, ইসলামী সংগীত অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান হয়। এরপর ওই সংগঠনের যাত্রা শুরু। ধারাবাহিকভাবে সংগঠনের সভাপতি কবি মো.সহিদ মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করে থাকেন। শত ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে তিনি ব্যাবসার ফাঁকে সংগঠনের স্বার্থে কাজ করে যান।

সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলায় তিনি বিতর্ক করিয়েছেন পাশাপাশি এই জেলার সমস্ত কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে প্রকাশ করেছেন সাহিত্যে সুনামগঞ্জের গুণীজন গ্রন্থ। এতে ৪৩৫ জন জীবিত, প্রয়াত সুনামগঞ্জের লেখকদের নাম উল্লেখ করেছেন। সহযোগিতা নিয়েছেন বিভিন্ন ঐতিহাসিক বইয়ের। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরিক্ষায় উত্তির্ন হওয়া পরীক্ষার্থীদের নিয়ে করেছেন একাধিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ধরাতলে অতিথি নামের একটি গ্রন্থের মাধ্যমে ওই সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ও বিতর্কিকদের উৎসাহ প্রেরণায় প্রয়াত কবি আবুল কালাম জাকারিয়া, কবি একরামুল হক সেলিম এবং প্রভাষক তৈয়বুর রহমানের সম্পাদনায় প্রতিভা বিকাশ নামক বই প্রকাশ করেন। পুনরায় দ্বিতীয়বারের মতো ২০২০ সালে আবার নবায়ন করেন এই সংগঠনের কমিটি। সংগঠনের সভাপতি হন কবি মো. সহিদ মিয়া।কার্যক্রম চালিয়ে যান ধারাবাহিকভাবে।অনলাইনে এবং অফলাইনে এই পর্যন্ত দুই শতাধিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা করেছেন। যা সুনামগঞ্জে এমন আরেকটি সংগঠন করতে পারেননি।

আয়োজন করেছেন বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের কে নিয়ে জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠান, এতে প্রার্থীরা এক সেমিনারে তাদের উন্মুক্ত কথা বলতে সক্ষম হয়েছেন।এসব রেকর্ডকৃত কাজ যা সুনামগঞ্জ জেলায় বিরল। তৃতীয়বারের মতো জাগ্রতকণ্ঠ সমাজ কল্যাণ সংস্কৃতি পরিষদ নবায়ন করা হলো। সেখানে সভাপতি হিসেবে পুনরায় কবি মো. মিয়া, সহ-সভাপতি কবি ও অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, সহ-সভাপতি শাহিনা চৌধুরী রুবি, সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন রুমি, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শাহজাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি আবু কাওসার, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুর রাজা চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার এমদাদুল হক মিলন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবু সাঈদ মোঃ ওয়াজেদ লেবু মাস্টার, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কারী,আমিনুর রহমান মামুন, প্রচার সম্পাদ গীতিকার,ডি এইছ,নবীন, সহ প্রচার সম্পাদক কলামিস্ট তহুর আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক কবি ধীরেন্দ্র কুমার দেবনাথ শ্যামল, সহ প্রচার সম্পাদক প্রভাষক পূর্ণিমা চৌধুরী,ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শাহিন আলম, সহ ধর্মীয় সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমদ, সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পাদক মাস্টার খোরশেদ আলম, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক গীতিকার ডাক্তার ইমরুল কয়েছ, ক্রীড়া সম্পাদক সাংবাদিক আবু সাঈদ, সহ অর্থ সম্পাদক মাষ্টার খোকন আচার্য, সম্মানিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন গীতিকার শেখ তারেক মনোয়ার চিশতী, গীতিকার তোফায়েল তালুকদার, এবং অন্যান্য সদস্যরা রয়েছেন। পূর্বের বিতার্কিক গণ যারা বিভিন্নপ্রতিষ্ঠান থেকে পূর্বের বিতর্ক করেছিলেন আজ তারা সফলতার দ্বারপ্রান্তে এবং পদাধিকার বলে তাদের নাম উল্লেখ করলে অগণিতজন রয়েছেন। তবে সভাপতি যাদেরকে সংযুক্ত করেছেন তাদের মধ্যে তোফায়েল আহমদ,বিলকিস আক্তার,মনজুর রশীদ আমিনি, আবু সুফিয়ান রাহুল, আমিরুল ইসলাম, হাসিব আক্তার হাসি, ইরিনা হক, মোঃ সুমন আক্তার, সৌরভ তালুকদার, মনির উদ্দীন, ইমন মিয়া, সৌরভ মহানায়ক, মিসতাউল হাসান,রীচি আক্তার, সজীব তালুকদার, রুবিনা আক্তার আখিঁ, রোমান মিয়া, আব্দুল্লাহ আল হাদী, আলেক মিয়া, হৃদয় হাসান, ইমরান আহমেদ শাহ এবং শাকিল আহমদ এই ৪৫জন এর মধ্যে সংগঠনটি পুনরায় গঠিত হয়। তবে বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যালয়ের প্রধানদেরকে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য রাখা হয়।

পরামর্শক্রমে উপজেলা বৃত্তি,বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করতে তাদের মধ্যে সহায়তা উল্লেখযোগ্য উপদেষ্টাগণ ধর্মপাশা উপজেলার আব্দুল মালিক, প্রধান শিক্ষক, জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সুবিধা বালা দাস, প্রধান শিক্ষিকা, গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়,মোহাম্মদ গোলাম জিলানী, দামোরদানি উচ্চ বিদ্যালয় মধ্যনগর,হাজী আব্দুল আউয়াল মিসবাহ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মধ্যনগর, মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, প্রধান শিক্ষক, জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, প্রভাকর মজুমদার,প্রধান শিক্ষক, সাচনা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, মো,শফিক মিয়া, বিশিষ্ট সমাজসেবক,সুজাতপুর জামালগঞ্জ আনন্দ মোহন,প্রধান শিক্ষক গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয় শাল্লা, মহিপাল দাস (মিল্টন) প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা শাল্লা,মোহাম্মদ হারুন রশিদ,অধ্যক্ষ ষড়পল্লী স্কুল এন্ড কলেজ জগন্নাথপুর, মোহাম্মদ হাজের আলী,অধ্যক্ষ শ্রীরামসি হাই স্কুল এন্ড কলেজ জগনাথপুর, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন প্রধান শিক্ষক, এসইএস ডিপি মডেল উচ্চবিদ্যাল মল্লিকপুর ছাতক, আঞ্জব আলী, প্রধান শিক্ষক,একথা উচ্চ বিদ্যালয় ছাতক, শেখ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক সাতগাঁও সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয় বিশ্বম্ভপুর, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন,অধ্যক্ষ, পলাশ স্কুল এন্ড কলেজ, মোঃ ইসমাইল হোসেন, প্রধান শিক্ষক, ধনপুর আছমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়,মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক, আমবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদ আশরাফুল হক, প্রধান শিক্ষক হাজী নুরুল্লাহ তালুকদার, দশগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় দোয়ারাবাজার, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, প্রধান শিক্ষক,মাতারগাঁও মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় দিরাই, মোহাম্মদ এনামুল হক, বিশিষ্ট সমাজসেবক, তাহিরপুর, মোহাম্মদ মুদাচ্ছির আলম সুবল, শিক্ষক জনতা উচ্চ বিদ্যালয় তাহিরপুর, মোহাম্মদ খাইরুল আলম।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102