শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন

লালমনিরহাট জজ আদালতে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১০ Time View

মোঃ হানিফ মিয়া,লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহায়ক কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও দূনীর্তি পরায়ণ নিয়োগ প্রদানকারী কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবীতে-বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মিশন মোড় হামার বাড়ি কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ, সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, কম্পিউটার অপারেটর কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৪ জন, জারিকারক পদে ৪ জন ও অফিস সহায়ক পদে ৬ জনসহ ২৪ জন জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন আদালত। কম্পিউটার অপারেটর কাম মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহায়ক ও জারিকারক পদে লিখিত পরীক্ষা হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। অপারেটর পদে ৪ মার্চ ও বাকি দুই পদে ৫ মার্চ মৌখিক পরীক্ষা হয়। ৫ মার্চ ফল প্রকাশ করে ওইদিনই নিয়োগপত্র ইস্যু করে কর্তৃপক্ষ। এসব নিয়োগে আত্মীয়করণ, লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমে স্বৈরাচারের দোসরদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে সচেতন নাগরিক সমাজ। এ নিয়ে গত ১৩ এপ্রিল শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সমাবেশে সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক জয়নুল অনুল আবেদীন স্বপন বলেন, ২৪টি পদের সবক’টিই দুর্নীতি ও আত্মীয়করণের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত শর্তাবলি অনুযায়ী শারীরিক যোগ্যতা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদপত্রসহ যোগদান করতে বলা হয়েছে। জেলার বাইরে নিয়োগপ্রাপ্তরা এত অল্প সময়ে কীভাবে এসব তথ্য সংগ্রহ করলেন- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল পূর্বনির্ধারিত।

তিনি আরও বলেন, এর আগে কর্মসূচি ও মাইকিং করা হলে ৮ মার্চ নিয়োগ স্থগিতসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। নিয়োগ স্থগিত করায় দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে। স্থগিত আদেশকে তোয়াক্কা না করে ফের আদেশ বহাল করা হয়, যা দুঃখজনক।

সচেতন নাগরিক সমাজের অন্যতম সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, এই নিয়োগ বাতিল করে ফের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি করেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে তাদের শাস্তি দিতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা জজকোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর বলার কিছু নেই। কোর্ট কর্তৃপক্ষও কিছু বলবে না।

হামারবাড়ি কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ডিসি অফিস এবং জজকোর্ট হয়ে আবার একই স্থানে এসে মিলিত হয়ে শেষ হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102