শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলামে উঠছে ১৫ হাজার লিটারের বেশি আফগান কোমল পানীয় ‘পামির কোলা’

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৭৯ Time View

ডেস্ক রিপোর্ট:

আফগানিস্তান থেকে আমদানি করা ১৫ হাজার ৮৬৮ লিটার কোমল পানীয় ‘পামির কোলা’ চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে প্রকাশ্য নিলামে উঠছে আগামী বুধবার। তিনটি ভিন্ন রঙের (গ্রীন, রেড ও অরেঞ্জ) ৩০০ মিলিলিটার করে ক্যানভর্তি এই পানীয়গুলোর মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

 

চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্যগুলোর সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৬২৭ টাকা। নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) দরমূল্যের ২০ শতাংশ সমপরিমাণ পে-অর্ডার জমা দিতে হবে। সর্বোচ্চ দরদাতাকে পণ্য মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে সরকার নির্ধারিত আয়কর এবং ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রদান করতে হবে। এছাড়াও জামানতের বাইরে অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পণ্য খালাস করতে হবে।

 

নিয়ম থাকলেও বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলামে তোলার জন্য বহু আগেই স্থায়ী আদেশ জারি করলেও, অতীতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনীহার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানা গেছে। এর ফলে বিভিন্ন সময় বহু খাদ্যপণ্য পচে যাওয়ায় সেগুলো নষ্ট করতে হয়েছে—যাতে সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি পণ্য ধ্বংসে অর্থ ব্যয়ও করতে হয়েছে।

 

তবে সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলাম প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে দ্রুত সম্পন্ন করছে বলে দাবি করা হচ্ছে। নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, “চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আমরা দ্রুত নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করছি। পাশাপাশি, নিলাম অযোগ্য পণ্যের ধ্বংস প্রক্রিয়াও চলছে।”

 

বিডারদের অভিযোগ: অনুমোদনে বিলম্ব, পে-অর্ডার আটকে থাকে

নিয়ম অনুযায়ী, জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার পর ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে পণ্য খালাস নিতে হয়। ব্যর্থ হলে ১৫ দিনের মধ্যে নোটিশ দেওয়া হয় এবং সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য নিলামে তোলার বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা থাকায় বন্দরের কন্টেনারগুলো ইয়ার্ডে পড়ে থাকে, যা কন্টেনার জটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

 

নিলামে অংশ নেওয়া বিডাররা অভিযোগ করেছেন, এখনও কিছু ভোগান্তি রয়ে গেছে। বিশেষ করে বিক্রির অনুমোদনে বিলম্ব হওয়ায় অনেকের পে-অর্ডার মাসের পরও আটকে থাকে। তাদের মতে, দ্রুত অনুমোদন দিলে কাস্টমস ও বিডার—উভয় পক্ষেরই লাভ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102