শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

ঢাকার বাসায় কাজ দিবে বলে বিক্রি করে দিয়েছেন আপন ফুফু, থানায় অভিযোগ মেয়ে লাপাত্তা। 

  • Update Time : রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৫৪ Time View

 

আশরাফুল আলম সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি

 

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমি গ্রামের রোকসানা ও সোহেল, এর ১২ বছরের কন্যা সুমাইয়া আক্তার এক মাস আগে , ফুফু সেলিনা ও ফুফা মোঃ শাহিদ এর সাথে ঢাকা যায়। ফুফু সেলিনা জানান মেয়েকে বাসার কাজে দিয়েছি ভালো আছে, কিন্তু পরে কোন এক অপরিচিত নাম্বার থেকে সুমাইয়া আক্তার কল দিয়ে মা বাবাকে বলেছিলেন, আমাকে দুই লক্ষ টাকা বিক্রি করে দিয়েছে ফুফু। তুমরা আমাকে বাচাও!

 

তার পরে দীর্ঘ একমাস হয়ে গেলেও মেয়ের কোন খোজ মেলেনি। ফুফু কে জিজ্ঞেস করলে বলেন আমি কি জানি কই গেছে, কোন ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে হয়তো, আমি তো কাজেই দিছিলাম। যে বাড়িতে কাজে দিছি ঐ বাসার মালিক কল দিয়ে আমাকে বললো, তুমাদের মে কাজ করে না, কাজ রেখে মোবাইলে কথা বলে, কথা শুনে না। এর পরে আমাকে একটা নাম্বার দিয়ে সুমাইয়া বলে আমারে নাকি দেখে ছাড়বো ও হাজতে দিব। তার পরে থেকে নাম্বার বন্ধ। এখন তার বাবা-মা আমাকে বলছে আমি নাকি বিক্রি করে দিছি। এসব মিথ্যা কথা। সে বাসা থেকে পালিয়ে গেছে।

 

সোমাইয়ার বাবা-মা জানান, মেয়ে কে বকাঝকা করলে সে ফুফুর কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে।ফুফু তাকে নানাবিধ প্রলোভন দেখিয়ে নিজের কাছে রাখে। পরে ঢাকার দিকে কোন একটা বাসায় কাজের কথা বলে নিয়ে যায়। সে খানে গিয়ে সুমাইয়া কল দিয়ে সব জানায়, আমারা তাকে বাড়ি ফিরে আসার কথা বলি, যার জন্য তাকে আর বাড়িতে কল দিতে দেয় না।

হঠাৎ একটা কল আসে, কান্নাকাটি করছে, বললাম কি হয়েছে, সুমাইয়া বললো আমাকে বাচাও, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। ফুফু আমাকে ঢাকা শহর দুই লক্ষ্য টাকা নিয়ে বিক্রি করে দিছে। তার পরে আর কোন দিন তার সাথে কথা বলা হইনি। সেই নাম্বার টাও বন্ধ।

এ বিষয় টা শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি কিন্তু কোন সুরাহা পাচ্ছি না। শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে আকুতি আর্তচিৎকারে ভেঙে পড়েন কন্যা সন্তান হারা পিতামাতা।

 

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা এমদাদুল হক প্রধান বলেন, আমি সবার সাথে মিলে মিশে থাকি। আমার কাছে সবাই সমান।মেয়ে টা আমি চিনি জানি। তারা অতন্ত্য দরিদ্র কিন্তু সুশীল সমাজ, ভদ্রলোক। তাদের মার্জিত আচরণ সবার হৃদয় কারে। এতো সুন্দর একটা মেয়ে কে তার ফুফু ঢাকা নিয়ে যায়, পরে লোক মারফত শুনতে পারলাম, তাকে নাকি বিক্রি করে দিছে। এমতাবস্থায় মেয়ের বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, কিন্তু প্রশাসনের কারচুপি ছাড়া আর কিছু মিলছে না। আমি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে মামলার বিষয় খতিয়ে দেখে, মূল বিষয় টা উদঘাটন করার জন্য শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, যত দ্রুত সম্ভব হয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।ইনশাআল্লাহ অতিদ্রুত উদ্ধার হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102