
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঈদযাত্রায় নারীর টানে ঘরে ফেরা সকল শ্রমিকের উপচে পড়া ভিড়বিশেষ প্রতিবেদক, গৌরাঙ্গ বিশ্বাস:
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা মোরে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল থেকে কাশিমপুর, সাভার-আশুলিয়ার শিল্প এলাকার সব কারখানা ছুটি হয়ে যাওয়ায় এসব কারখানার শ্রমিক ও তাদের পরিবারের লোকজন সন্ধ্যার পর ও আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে নিজেদের ভাড়া করা রিজার্ভ করা বাস নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে রওয়ানা হওয়ায় গাড়ির চাপে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, মহাসড়কে এ যানজটের কারণে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি।
জানা গেছে,সকাল থেকে আশুলিয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় তিনশ গাড়ি একত্রে ছেড়ে যাওয়াসহ সাভার ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মজীবী,পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার ফলে মহাসড়কে অস্বাভাবিকহারে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহা সড়কে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।
সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সাভার এলাকা থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের যাত্রী গাপপার রহমান জানান, দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবত মহাসড়কে বাসের ভিতরে বসে আছি, এ যানজট যেন শেষ হবার নয়। এই যানজট শেষ করে কতক্ষণে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাতে পারবেন তা বলতে পারছেন না তিনি।
এছাড়া রাজধানীর মহাখালী থেকে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইলগামী বিনিময় পরিবহনের বাস চালক আজিজ মিয়া জানান, তিনি মহাখালী থেকে বাস ছেড়ে মাত্র দেড় ঘণ্টায় প্রায় ৬০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় আসেন। কিন্তু শ্রীপুর থেকে জিরানী পর্যন্ত মাত্র ৩ কিমি রাস্তা পার হতে তার প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে। গাড়ি নিয়ে টাঙ্গাইল কখন পৌঁছাতে পারবেন তা জানেন না তিনি।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শওকাতুল আলম জদআমাদের জানান, তাদের সীমানা এলাকায় রাস্তা-ঘাটে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় একসঙ্গে অনেক গাড়ি জড়ো হওয়ায় সড়কটিতে গাড়ির দীর্ঘ লাইনের ফলে সৃষ্ট যানজট জিরানি বাজার এলাকায় পৌঁছে গেছে। তবে খুব শিগগিরই তা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।