শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন

চিলমারীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৯৩ Time View

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা (মামানি) অনশনে বসেছেন। রোববার (২৩ মার্চ) সকাল ৮ টার দিকে, উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচারী পাড়া (চড়াও বাড়ী) গ্রামের দেলাবর রহমানের ছেলে প্রেমিক নাজমুল ইসলাম (২০)এর বাড়িতে এই অনশন শুরু করেন।

জানাযায় উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের, আঃ হাই এর মেয়ে। নুর আছমা (২৩) বলেন, ছেলে আমার স্বামীর (ভাগ্নে) ও বন্ধু ছিল, সেই সুবাদে আমার শশুর বাড়ীতে যাওয়া আসা করত। গত ৪মাস ধরে আমাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। সম্পর্কের কারণে আমাদের মধ্যে প্রায় সাক্ষাৎ ও মুঠোফোনে কথা হত। ছেলে আমাকে ফোন কিনে দিয়েছিল, আমার ২ ছেলে আছে সেই সুবাদে সে প্রায় প্রায় চকলেট কিনে দিত।

এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান প্রেমিক নাজমুল ইসলাম। হঠাৎ একদিন আমাদের ২জন কে এক ঘরে দেখতে পায় আমার স্বামী। পরে চেয়ারম্যান, গ্রাম পুলিশ ও গ্রামের নেতারা মিলে মিটিং করে দেয়। তখন ছেলে আমাকে আশ্বাস দেয়, তুমি ঢাকা যাও। তোমার স্বামী যদি তোমাকে ডিভোর্স দিলে, আমি তোমাকে বিয়ে করব। পরে ডিভোর্স হলে, আমি ছেলের সাথে কথা বলি। তখন সে আমাকে বলে যার ছেলে সে ছেলেকে নিবে, আমার সমস্যা নাই। আবারও বলেন আমার বাবা-মা বাড়ীতে মেনে নিলে আমি তোমাকে নিব। প্রায় ২/৩ মাস ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আসলেও গত ৮/১০ দিন যাবৎ নাজমুল ইসলাম সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। যার কারণে আজ সকালে আমি তাদের বাড়িতে আসি। ছেলের বড় ভাই বলে কে এই মেয়ে, পরে ছেলের মা ও মামী আমাকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ভুক্তভোগী এই তরুণী আরও বলেন, ছেলে আমার অনেক শারীরিক ক্ষতি করেছেন।

এখন সবার কাছে আমার একটাই দাবি, আমি তার স্ত্রী হিসাবে তার বাড়িতে থাকতে চাই। সবাই আমাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য বার বার বলছেন। এমন অবস্থায় আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছি। অভিযুক্ত প্রেমিক নাজমুল ইসলামের মা বলেন, এই মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা বাড়িতে কখনো কেউ তাদের সম্পর্কের কথা জানি না। কিছু দিন আগে মেয়ের বাড়ির পাশে ওয়াজ মাহফিল হয়, সে খানে আমার ছেলে ওয়াজ শোনার জন্য যায়। মেয়ে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়, পরে সে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে বলে আমাকে বিয়ে করতে হবে। তারপরে সবাই মিটিং করে, আমার ছেলের কোন দোষ খুঁজে না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।

তখন থেকে আমার ছেলের কোন খবর নাই, কই থাকে না আমি জানি না। তখন থেকে আর কোন কিছু শুনি নাই। ছেলের গ্রামবাসী দাদা আঃ আজিজ বলেন, আমি ঐ মিটিং এ ছিলাম ছেলের কোন দোষ না পাওয়ার ছেলেকে সবাই ছেড়ে দেয়। গ্রামবাসী ফয়েজ মিয়া বলেন, ঐ মেয়ের আগের স্বামী মিন্নাতুল ও নাজমুল ইসলাম এরা দুজনেই মামা ও ভাগ্নে সম্পর্ক। এরা সব কাজ দুজনেই মিলে করত, এদের মধ্যে খুবই মিল ছিল। এরই সুবাদে ভাগ্নে ও মামানির মধ্যে গভীর সম্পর্ক হয়, পরে তারা দুজনেই শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে জানান।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার মোনায়েম হোসেন বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। কেউ আমাকে কিছু বলেনি। এ বিষয়ে চিলমারী মডেল থানা কর্মকর্তা (ওসি) মোশাহেদ খানের বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। জানলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102