শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন

হাতীবান্ধায় মডেল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়ে দ্বন্দে শিক্ষক কর্মচারীর সংবাদ সম্মেলন

  • Update Time : বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৮১ Time View

মোঃ ইমন খাঁন , হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ দাবিদারদের দ্বন্দ্বে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই কলেজের প্রভাষক ও কর্মচারীগগ।

বুধবার (১৯)মার্চ দুপরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ডাকালি বান্দা এলাকায় অবস্থিত মডেল কলেজের অধ্যক্ষর কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের প্রভাষক আসরাফুজ্জামান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন
বেশকিছুদিন থেকে বিভিন্ন গনমাধ্যমে আমাদের হাতীবান্ধা মডেল কলেজকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা সঠিক তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে প্রকাশ করা হয়নি। গত ১২/০১/২০২৩ ইং সালে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই প্রতিষ্ঠানের ৩ জন অধ্যক্ষের দাবিদার হওয়ায় কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম সহ পরিচালনা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে এবং আমার শিক্ষক কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কেনো সুরহা পায়নি।

তৎকালীন রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ দাবিদার জনাব নুরুজ্জামান, জনাবা সালমা বেগম ও জনাব, হুসাইন মোঃ নওসাদ ৩ জনই কলেজে বিশৃঙ্খলা সহ অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটিয়ে আসছিলো। এবং ৩ জন দাবিদার হওয়ায় কর্মরত সবাই বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পরবর্তীতে কমিটি ও শিক্ষকদের সম্মতিক্রমে ১২/০৭/২০২৪ ইং তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ইংরেজী বিষয়ের প্রভাষক জনাব হাছেন আলীকে দায়িত্ব প্রদান করেন। তখন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব হাছেন আলীর মাধ্যমে কলেজটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। কলেজটির ৩ জন অধ্যক্ষের দাবিদার হওয়ায় ২৩/২/২০২৫ ইং শিক্ষামন্ত্রালয় থেকে তদন্তটিম কলেজে কাগজপত্র যাচাই বাচাই এর জন্য আসেন। পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণভাবে তদন্ত শেষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছেন আলীর স্বাক্ষরিত সকল শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত ও কলেজের তথ্যাদি শিক্ষামন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়। আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ধারনা করি যে, ৩ অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।

পরবর্তীতে আমরা সকল শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ হাছেন আলী স্যারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি। যাহা ০৯/০২/২০২৫ ইং তারিখে পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ এর কাছে পিটিশন দাখিল করা হয়। তদন্ত টিম কাগজপত্র যাচাই বাচাই করার পর জনাবা অধ্যক্ষ সালমা বুঝতে পারেন যে, অধ্যক্ষ পদে নিয়োগটি বিধিসম্মত হয়নি। পরবর্তীতে জনাবা সালমা কলেজে এসে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। গত ১৭/০৩/২০২৫ ইং তারিখ কলেজ চলাকালীন সময় কৃষি বিষয়ের প্রভাষক জনাবা সফিয়ার রহমানের সাথে বাকবিতন্ডা হয় এবং এক সময়ে জনাবা সালমা বেগম তার গায়ে হাত তুলে সম্মানহানী ঘটায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে প্রভাষক সফিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে। কিন্তু আমরা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া দেখতে পাই সালমা বেগম হাসপাতালে ভর্তি। এবং বিভিন্ন মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে যাহা গনমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম, জনাবা সালমা যে অভিযোগগুলো তুলেছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

আমরা হাতীবান্ধা মডেল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা চাই যে, ৩ জন অধ্যক্ষ দাবিদারের মধ্যে যাকে ডিজির তদন্ত অনুযায়ী বিধি সম্মতভাবে নিয়োগ পেয়েছেন মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করবেন তাকেই আমরা অধ্যক্ষ হিসেবে সাদরে গ্রহন করিবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102