খুলনা ব্যুরোঃ-
খুলনার কয়রা থানার ওসি ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে খুলনা ডিআইজি বরাবর অভিযোগ করেছেন কয়রা উপজেলার ২ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান নামের এক ভুক্তভোগী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর মেয়ে আয়শা আক্তার মীম (২১) নামের গৃহবধূ গত ০৫ মার্চ ইং তারিখে তার শশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মেয়েকে ফিরে পেতে থানা পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাইতে গিয়ে তিনি চরমভাবে অপমানিত হন এমনকি পুলিশ কর্তৃক অশ্লীল উক্তি/তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন।
পরক্ষণে ওসির কাছে অনুনয়-বিনয় করে লিখিত অভিযোগটি নেওয়ার জন্য বলা হলে- তিনি ডিউটি অফিসারের কাছে রেখে চলে যেতে বলেন এবং সময় পেলে দেখবেন বলে জানান। এ ঘটনায় গত শনিবার ০৮ মার্চ ভুক্তভোগী মোখলেছুর রহমান কয়রা থানার ওসি এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরথ লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও জাতীয় গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হলে বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।পরে নিজেকে বাঁচাতে ওসি ইমদাদুল হক তার নিজস্ব কথিত সাংবাদিক সিন্ডিকেট দিয়ে ঘটনা অন্যদিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে অত্র অঞ্চলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, ওসি ইমদাদুল হক খুব একঘেয়েমি। ইতিপূর্বে তিনি এই থানায় ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি অহেতুক সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছিলেন।
তার কিছু কথিত সাংবাদিক বাহিনী আছে তাদের মাধ্যমে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানাতেন তিনি। এভাবে অসংখ্য নির্দোষ ব্যক্তিদের দিয়ে তিনি মামলা বানিজ্য করতেন যখনই ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা করতেন তিনি তখনই এ সমস্ত কথিত সাংবাদিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন। তাইতো ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। তাই তিনি আবারও এই থানায় পোস্টিং নিয়েছেন। আর এভাবেই তিনি তার বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগটি ধামাচাপা দিতে তার সেই কথিত সাংবাদিক বাহিনী দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এটা স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের শ্রেষ্ঠ পন্থা ছিল একটি অভিযোগের বিপরীতে একটি অভিযোগ খাড়া করা। আর তিনি শেষমেশ এটাই প্রমাণ করলেন তিনি স্বৈরাচারী সরকারের অন্তর্ভুক্ত একজন কর্মকর্তা।
যার কারনে অভিযোগের বিপরীতে অভিযোগ নিয়ে এমন একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য কে ধামাচাপা দেয়ার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য ঘটনার সময় ওসির কক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কয়রা উপজেলা কমান্ডের আহবায়ক মওলা বকস। তিনি বলেন, একজন পিতা তাঁর নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানের জন্য পুলিশের সহযোগীতা চাইতে পারেন। এটা তাঁর নাগরিক অধিকার। কিন্তু পুলিশ তাঁকে যেভাবে বলেছে তা অপমানজনক। নিখোঁজ গৃহবধুর বাবা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ে শশুর বাড়িতে প্রায়ই নিগৃহীত হয়ে আসছে। সে কারণে অভিমানে কোথাও চলে গেছে হয়তো। মেয়ের সন্ধানের জন্য ওসি স্যারের কাছে সহযোগীতা চাইতে গেলে উল্টো তিনি অপমানজনক কথা বলেছেন।
এ সময় আমার সাথে থাকা আমার ফুফাতো ভাই ওসি স্যারের কথার প্রতিবাদ করলে তাকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।’ তিনি এ ঘটনার প্রতিকার দাবী করেন। ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারি সংস্থা’ কয়রা উপজেলা শাখার সভাপতি ও আইনজীবি আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, রাষ্ট্রের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে সহযোগীতা চাইতে গিয়ে কোন নাগরিক হেনস্থার শিকার হলে তা স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কয়রা থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, নিখোঁজ নারীর বাবার সঙ্গে আরেক ব্যাক্তি থানায় এসেছিলেন। তিনি অপ্রাসাঙ্গিক কথা-বার্তা বলছিলেন এজন্য তাকে সতর্ক করে কিছু কথা বলা হয়েছে। ওই নারীর বাবার সঙ্গে খারাপ আচারণ করা হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- মোঃ আবির ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক:- জামিল চৌধুরী
বার্তা সম্পাদক:- আরিফুল ইসলাম
হেড অফিস: ৪৭,পুরানো পল্টন আরবান পল্টন ভিউ কমাশিয়াল কমপ্লেক্স (৫ম তলা)
নিউজ মেইল: dainikprothombarta@gmail.com
যোগাযোগ: ০১৬৪৩-০৩১৩৭২/০১৮৬৮-৮৪৫৫৯৬
দৈনিক প্রথম বার্তা কর্তৃপক্ষ
Design And Develop By Coder Boss