পবিত্র রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নেয়ামত। এই নেয়ামত লাভের জন্য রাসুলুল্লাহ (স.) ও সাহাবায়ে কেরাম অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন আর দুই মাস আগে থেকে রমজান পাবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। বহু বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, তাঁরা রমজানের আগমনের সংবাদ পেয়ে আনন্দিত হতেন। এরপর ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন হয়ে যেতেন এবং আত্মশুদ্ধির এক নতুন অধ্যায় শুরু করতেন।
প্রিয়নবী (স.) সাহাবাদের রমজানের আগমনের সুসংবাদ দিতেন এভাবে—‘তোমাদের কাছে রমজান উপস্থিত হয়েছে, যা একটি বরকতময় মাস। তোমাদের ওপর আল্লাহ তাআলা অত্র মাসের রোজা ফরজ করেছেন। এ মাসের আগমনে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর আল্লাহর অবাধ্য শয়তানদের গলায় লোহার বেড়ি পরানো হয়। এ মাসে একটি রাত রয়েছে, যা এক হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যেব্যক্তি সে রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল সে প্রকৃত বঞ্চিত রয়ে গেল।’ (সুনানে নাসায়ি: ২১০৬)
রমজানকে স্বাগত জানাবেন যেভাবে
পবিত্র রমজানকে স্বাগত জানানোর পদ্ধতি হলো- ১. যথাযথভাবে রমজানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। ২. রমজানের চাঁদ দেখা ও দোয়া করা। ৩. অন্তরে রমজানের রোজা ও অন্যান্য ইবাদতের প্রতি ভালোবসা সৃষ্টি করা। ৪. বেশি বেশি নেক আমল করা, যেমন কোরআন তেলাওয়াত, উত্তম আচরণ, দান-সদকা, কল্যাণমূলক কাজ, দ্বীনি দায়িত্ব পালন, দোয়া-দরুদ, জিকির-আজকার ইত্যাদি। ৫. অতীতের গুনাহের জন্য আল্লাহর দরবারে খাঁটি তাওবা করা। ৬. আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো।
এভাবেই একজন মুসলিম রমজানের আগমনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে পারে এবং এ মাসের প্রতিটি মুহূর্ত কল্যাণময় করে তুলতে পারে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে পবিত্র রমজানকে স্বাগত জানিয়ে তাতে বেশি বেশি ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।