হোসাইন মৃদুল, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গুনটিয়ায় পালিত হচ্ছে ৩’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী তিন (০৩) দিন ব্যাপী মাঘি পূর্ণিমা।গত বুধবার ( ১২ ই ফ্রেব্রুয়ারি)১৪৯ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন কালি মন্দিরে এই ঐতিহ্যবাহী মাঘি পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় । এ সময় দেশীয় ও বিদেশীয় বিভিন্ন স্থান থেকে আসে সনতানী ভক্তবৃন্দ এবং দর্শনার্থী সহ স্থানীয় মুসলমানরা । সনতানীরা মূলত আসেন পূজা অর্চনা ও নাম কীর্তন শুনতে বার্ষিক মহা উৎসব দেখতে। হাজার হাজার সনাতনীরা এসে করেছেন রোগমুক্তি সহ মনষ কামনা পূরনের প্রার্থনা ।এ ছাড়াও গুনটিয়া মাঠ প্রাঙ্গনে বিভিন্ন আসবাবপত্র খেলনা মুখরোচক খাবার মাশরুমের স্টল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও হরেক রকমের পশরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা । শিশু কিশোর বৃদ্ধ থেকে সকলেই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মেতে উঠেছেন এই উৎসব পূর্ণ পরিবেশে । শিশুদের ছোটাছুটি চরকিতে ও দোলনা ঘোড়াতে উঠে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা যায়। তা সকল বয়সী মানুষকে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খেতে দেখা যায়। সকল প্রকার মিষ্টান্নসহ চোখে পড়ে বিভিন্ন ধরনের ভাজা পুরা সাজ বিন্নি জিলাপি ড্রাগনের শরবত কদমা আচারের দোকান সহ হরেক রকমের মেয়েদের প্রসাধনীর দোকান । এ ছাড়াও আরো চোখে পড়ে দা কাস্তে সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। কালি মন্দিরের পুরোহিত বলেন এই ঐতিহ্যবাহী মাঘি পূর্ণিমা তিথি পালিত হয়ে আসছে সেই ৩’শ বছর ধরে । এখানে স্থানীয় সনাতনী সহ ভারতীয় আত্মীয় সনাতনীরা আসেন বিভিন্ন রোগমুক্তি ও মনষ কামনা পূরনের জন্য এবং গঙ্গাস্নান করার জন্য। শুধু তাই নয় পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জ সহ সিরাজগঞ্জ শেরপুর থেকে এইখানে আসেন অনেকেই। গুনটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন এই উৎসব ভ্রাতিত্বের মেলবন্ধনের উৎসব । এই উৎসবে হিন্দু মুসলিম সবাই আসেন। এই উৎসবটি সনাতনীরা খুবই আনন্দের সাথে পালন করে থাকে। তবে প্রতিবছরের তুলনায় এ বছর লোকজন বেশি। সব মিলিয়ে আনন্দঘন মূহূর্ত পার করছেন সবাই । স্থায়ীরা বলেন এইটা বার্ষিকী গঙ্গাস্নান । আমরা এইখানে এই মেলা উপভোগ করতে আসছি । তাছাড়া বাচ্চারা এইখানে অনেক আনন্দ উপভোগ করে । অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আয়োজন অনেক ভালো আর জনসমাগমও বেশি । অনেক ভালো লাগতেছে আমাদের। কমিটি ও প্রশাসনের লোক বলেন নিরাপত্তা জোরদার সহ সকল প্রকারের সুবিধা পাবেন এই উৎসবমুখর মেলায় । এছাড়াও পুলিশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা পুলিশ সহ স্বেচ্ছাসেবী দল নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছেন।