কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি:
খুলনার কয়রা উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যান ও তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং সিআর ২৭/২৫।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মিথ্যা মামলায় হয়রানি, ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন মো. নূরুল ইসলাম।
মামলার বাদী কয়রা উপজেলার সরিষামুট গ্রামের বাসিন্দা। নূরুল ইসলাম একজন শিক্ষক ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কর্মী।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- উপজেলার কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ গাজী, একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার পাড়, উপপুলিশ পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন, এএসআই আশরাফুজ্জামান ও নাসির উদ্দিনসহ আট পুলিশ সদস্য, একাধিক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, আইনজীবী ও জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা বিভিন্ন সময়ে বাদীর নিকট চাঁদা দাবি করত ও হুমকি দিত। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে চাঁদা গ্রহণ করত। একপর্যায়ে একটি মামলায় খুলনা জেলা আদালতে হাজিরার জন্য যাওয়ার পথে আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১২০ জন সন্ত্রাসীরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে চাপাতি, দা, লাঠি, শাবল, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগসহ তাদের মসজিদকুড় ব্রিজের দুই পার্শ্ব আটকে রেখে। এ সময় তাদের সাথে থাকা খাদ্য সামগ্রী, টাকা, ঘড়ি, স্বর্ণের আংটি, চেইন লুটপাট করে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা।
এছাড়া ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় ২টি বিস্ফোরক দ্রব্য ব্রিজের দুই পার্শ্বে ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে আসামিদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বাদীর বসত ঘরে প্রবেশ করে বাদীর স্ত্রী ও পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তারা জীবনে শেষ করে দেওয়ার ভয় দেখায়। এ সময় বাদীর বসত ঘরের ট্রাঙ্ক ভেঙে নগদ অর্থ লুটপাট করে।
মামলার বাদী মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে আমাদের নানাভাবে হয়রাণি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদা আদায়সহ ঘরবাড়িতে লুটপাট করেছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো।
বাদীর আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- মোঃ আবির ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক:- জামিল চৌধুরী
বার্তা সম্পাদক:- আরিফুল ইসলাম
হেড অফিস: ৪৭,পুরানো পল্টন আরবান পল্টন ভিউ কমাশিয়াল কমপ্লেক্স (৫ম তলা)
নিউজ মেইল: dainikprothombarta@gmail.com
যোগাযোগ: ০১৬৪৩-০৩১৩৭২/০১৮৬৮-৮৪৫৫৯৬
দৈনিক প্রথম বার্তা কর্তৃপক্ষ
Design And Develop By Coder Boss