কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি : বিএম আলামিন ইসলাম
গত ৫ আগস্টের পর থেকে সুন্দবনে বনদস্যুদের উৎপাত পুরায়ন বৃদ্ধি পেয়েছ।দস্যুদের উৎপাত এতটায় বৃদ্ধি পেয়েছে যে,জেলেরা নিরাপদে মৎস্য শিকার করতে পারছে না।বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র -শস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জেলেদরকে জিম্মি করে মুক্তিপণ নিচ্ছে বনদস্যুরা।মানববন্ধের মাধ্যমে বনদস্যুদের দ্বারা সুন্দবনের উপর নির্ভরশীল বনজীবীদের অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়ের প্রতিবাদ ও বনদস্যু নির্মূলের দাবি জানানো হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় কয়রা উপজেলার সুতিয়া বাজার এলাকায় সুন্দরবন সুরক্ষা আন্দোলন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন শিক্ষক মহসিন হোসেন, প্রেসক্লাব কয়রার সদস্য সচিব কামাল হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি মো. গোলাম রব্বানী, ইউপি সদস্য আবু সাইদ, কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দীন, বনজীবী জেলে ইমান আলী, মৌয়াল আলাউদ্দীন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন,সুন্দরবনে ৫ আগস্টের পর থেকে শরীফ,আলিফ,মনজু,দয়াল ও আব্দুল্লাহ বাহিনীর উৎপাত বেড়েছে। এরা জেলেদরকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে।স্হল থেকে বনদস্যুদের পৃষ্ঠপুষকরা এ কাজে সহযোগীতা করে যাচ্ছে।এখনি এদেরকে শক্ত হাতে দমন না করা হলে জনবল ও অস্ত্র আরও বৃদ্ধি করে সুন্দরবনকে অপরাধের অভয়ারণ্য বানিয়ে ফেলবে।