কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি:
খুলনার কয়রায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ করাত কল। রাস্তার আশেপাশেসহ বিভিন্ন জনসমাগম এলাকায় গড়ে উঠছে করাতকল। এগুলোতে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে অনেক গাছ। রাতে কিংবা দিনে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে কাঠ চেরাই। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এসব মিলের নেই কোনো সরকারি অনুমতিপত্র কিংবা লাইসেন্স। উপজেলার বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়ক ঘেঁষে জনবসতি স্থানে অবৈধভাবে ৪০টি করাতকল গড়ে উঠেছে। আইন অমান্য করে গড়ে ওঠা এসব করাতকল গত কয়েকবছরে উচ্ছেদ করা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বনবিভাগের নীতিমালায় সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন সম্পর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরেও নীতিমালা ভেঙ্গে এসব অবৈধ করাতকলে গভির রাতে সুন্দরবন থেকে পাচার হয়ে আসা বিভিন্ন প্রকারের সরকার নিষিদ্ধ গাছ ভোর রাতে চেরাই করে চালাচ্ছে জমজমাট ব্যবসা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের বনজসম্পদ। আর এসব থেকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমানের রাজস্ব।
কয়রায় নিয়ম মানছে না মালিকরা অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা- কর্মচারী ও নিয়মতো মাসোয়ারা আদায় করছেন ওইসব মিল মালিকদের কাছ থেকে। এতে করে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাস্তার পাশে করাতকল থাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে সমস্যা হয়। যখন করাতকল চলে, তখন শব্দ দূষণসহ কাঠেরগুড়া বাতাসে ছড়িয়ে নিঃশ্বাসের সঙ্গে নাকের ভিতর দিয়ে মানব শরীরে প্রবেশ করে।
এতে মানুষের শরীরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। যানবাহনের চালক ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার একাধিক করাতকল মালিক জানান, এ উপজেলায় করাতকলের জন্য কোনো লাইসেন্স দেয়না কর্তৃপক্ষ। বৈধ অনুমতি না থাকলেও সরকার নিষিদ্ধ কোনো গাছ করাত কলে চেরাই হয় না। অনুমতিপত্র পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেই করাতকলের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বন কর্মকর্তা সাদিকুজ্জামান বলেন, মিল মালিকদের থেকে মাসোয়ারা নেয়া ও সুন্দরবনের কাঠ চেরাইয়ে জড়িত থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। অবৈধ করাতকল বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালানো হবে।