হোসাইন মৃদুল,নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
আবহাওয়া পরিবর্তনের পাশাপাশি মিষ্টি শীতল হাওয়া মনে করিয়ে দিচ্ছে ঋতুর পরিক্রমায় শীত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশে কোথায় কোথায় শীতের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর শীতে উষ্ণতা পেতে লেপের কোনো বিকল্প নেই। তবে আধুনিকতা আর পরিবর্তনের মানুষের ঘরে ঘরে এখন রঙ-বেরঙের কম্বলের ব্যবহার হলেও লেপের কদর কমেনি। তাই তো শীতের আগমনী বার্তায় লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ত টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুনকররা। যেন দম ফেলার সময় নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নাগরপুর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে শতাধিক ধুনকর পরিবার লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রির কাজ করছে। কেউ তুলো ধুনছে, কেউবা ব্যস্ত লেপ-তোশক সেলাইয়ে। একই সঙ্গে দোকানগুলোতে ব্যাপক ক্রেতা সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। যাদের দোকান নেই সেই ধুনকররা তুলা, কাপড় ও ধুনার নিয়ে ভোরে বেরিয়ে পড়ছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগুলোতে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লেপ বা তোশক তৈরি করছে। তাছাড়া শীতের আগমনে গ্রামের গৃহবধূরা কাঁথা সেলাই করছে। একেবারে দরিদ্র শ্রেণির পরিবারের নারীরা পুরাতন কাঁথা জোড়াতালি দিতে ব্যস্ত রয়েছেন।
নাগরপুর উপজেলার লেপ-তোশক ব্যবসায়ীরা জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় লেপের কদর অনেকটা কমে গেছে। তবে ঐতিহ্যের প্রথা অনুসারে বিয়েতে লেপ-তোশকের ব্যবহার হয়। বর্তমানে শ্রমিকের মূল্য ও তুলার মূল্যসহ আনুষাঙ্গিক কাঁচা মালের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে লেপ-তোশকের মূল্য বাড়াতে হয়েছে। বছরের অন্যান্য সময় তোশক-বালিশসহ টুকিটাকি কাজ থাকলেও শীত মৌসুমে একটু কাজ বেশি থাকে।
ক্রেতা মোঃ ইমন বলেন, আমি দুইটি লেপ কিনতে এসেছি। এবার তুলার দাম একটু বেশি। তাই লেপের দাম চড়া।
নাগরপুর সদর বাজারের মায়ের দোয়ার পরিচালক মোঃ জহির উদ্দিন জানান, প্রায় দুই মাস ধরে চলছে লেপ বানানোর কাজ। পুরো শীতজুড়ে চলবে এই কাজ। কাঁচামাল ও মজুরি মিলিয়ে এক একটি লেপের খরচ পড়ে প্রায় দেড় হাজার টাকা। তুলার বিভিন্ন ধরন অনুযায়ী লেপ বানানোর খরচ কিছুটা কম-বেশি হয়ে থাকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- মোঃ আবির ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক:- জামিল চৌধুরী
বার্তা সম্পাদক:- আরিফুল ইসলাম
হেড অফিস: ৪৭,পুরানো পল্টন আরবান পল্টন ভিউ কমাশিয়াল কমপ্লেক্স (৫ম তলা)
নিউজ মেইল: dainikprothombarta@gmail.com
যোগাযোগ: ০১৬৪৩-০৩১৩৭২/০১৮৬৮-৮৪৫৫৯৬
দৈনিক প্রথম বার্তা কর্তৃপক্ষ
Design And Develop By Coder Boss