নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ১৩ নভেম্বর (বুধবার) নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ‘সুবিধাবাদী শিক্ষক হারুন, সব প্রশাসনেই বাগিয়ে নেন পদ-পদবী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশিদকে নিয়ে তৈরি। এই সংবাদের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) শিক্ষার্থীরা লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন এবং সংবাদের কঠোর সমালোচনা করেন। তাদের দাবি, প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীরা বলেন, “হারুন স্যার আমাদের কাছে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং সম্মানহানিকর।” তারা মনে করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই সংবাদ প্রচার করে স্যারের মানহানি করা হয়েছে।
এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের নিন্দা জানিয়ে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রুমন হাসান বলেন, “এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।”
লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হরিপ্রিয়া সেন অভিযোগ তোলেন, সংবাদটি যথাযথভাবে যাচাই না করেই প্রকাশিত হয়েছে, যা সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থী।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তথ্য যাচাই না করে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করলে তা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থী হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের রিপোর্ট ভবিষ্যতে যাতে আর না হয়, সেজন্য প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাংবাদিকতার নৈতিকতা রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি।”
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তদন্তের দাবি জানান এবং প্রশাসনের প্রতি এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। এসময় জাককানইবি প্রেসক্লাবকে বয়কটের ডাক তোলেন শিক্ষার্থীরা।